বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে সীতা দেবী প্রথম ছট পুজো করেছিলেন। তত্‍কালীন অঙ্গ প্রদেশের মুঙ্গেরে সীতা ছয় দিন ছট পালন করেছিলেন বলে জানা যায়। ১৪ বছর বনবাসে কাটিয়ে ও রাবণকে হত্যা করে সীতা উদ্ধার করার পর রাম ও লক্ষ্মণ সীতাকে নিয়ে অযোধ্যা ফিরে আসেন। কিন্তু রাবণ বধের পাপ থেকে মুক্তি পেতে মুনি ঋষিরা রামকে রাজসূয় যজ্ঞ করার পরামর্শ দেন। এই যজ্ঞের আয়োজন করতে আমন্ত্রণ করা হয় মুদগল ঋষিকে। কিন্তু মুদগল ঋষি রাজসূয় যজ্ঞ করার পরিবর্তে রাম ও সীতাকে তাঁর আশ্রমে নিয়ে যান। তাঁর নির্দেশে রাম ও সীতা সেখানে পুজো করেন।

মুদগল ঋষি গঙ্গাজল ছিটিয়ে সীতাতে শুদ্ধ করেন এবং তাঁকে সূর্য দেবতা ও মা ষষ্ঠীর পুজো করার পরামর্শ দেন। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথি থেকে শুরু করে ছয় দিন ধরে ওই আশ্রমে থেকেই ছট পালন করেন সীতা। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে সীতা যেখানে ছট পুজো করেছিলেন, সেখানে আজও তাঁর পায়ের ছাপ রয়েছে। বহু মানুষ প্রতি বছর মুঙ্গেরের এই স্থানে এসে ছট পালন করেন।

ছট পূজা (সূর্যের পূজা)
কলমে কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ছট পূজা উৎসবে ভারি ধূম হয়,
ছট পূজা কেহ কেহ সূর্য পূজা কয়।
সূর্যের পূজা সবাই করে ভক্তি ভরে,
উপবাসী থাকি হবে সূর্য পূজা করে।

দাড়িম্ব কদলী আর আখগাছ সাথে,
ফলমূল সুমিষ্টান্ন ডালা লয়ে মাথে।
সরোবরে জলে নামি করে উপাসনা,
প্রত্যুষে সকলে করে সূর্যের বন্দনা।

রাত্রি কাটে ভোর হয়ে হয় সূর্যোদয়,
সূর্যের বন্দনা করি পূজা শেষ হয়।
পূজা আরাধনা শেষ সূর্যে অর্ঘ দিয়ে,
ব্রতীরা সকলে মিলে সুরে গান গেয়ে।

ছট পূজা কাব্যমালা হলো সমাপন,
কবিতা লিখিল কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।