শীত চলে যায় রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যায় শীতের জরাজীর্ণতা। বসন্ত এসে গেছে। কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবু বসন্তবন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত থাকে না।
শীতের রুক্ষতা বিদায় করে প্রকৃতি সেজেছে নবসাজে। ঝরাপাতার দিনশেষে গাছে গাছে নতুন শাখা-কুঁড়ির গান। মুকুল-শিমুল-পলাশে মিতালী করে বসন্ত এরই মধ্যে মেলে ধরেছে আপন রূপ। ফাগুনের আগুনে মন রাঙিয়ে বাঙালিও মেতেছে বাসন্তী উৎসবে।
বসন্তের আগমনী কবিতা (অষ্টম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
শীতঋতু অন্তে আজি এ বসন্তে
নব নব কিশলয়,
আর নাহি শীত পাখি গায় গীত
আজি বসন্ত সময়।
আম্রের শাখায় কোকিলেরা গায়
পূর্বদিকে উঠে রবি,
ফুল ফুটে বনে কুসুম কাননে
বসন্তের নব ছবি।
অজয়ের চরে সোনা রোদ ঝরে
শালিকের কলরব,
অজয়ের ঘাটে আসে জল নিতে
গাঁয়ের বধূরা সব।
বসন্তে এসেছে পুলক জেগেছে
রং লাগে দেহে মনে,
লিখিল লক্ষ্মণ করে নিরীক্ষণ
বসন্তের আগমনে।