আম্রকাননে শুনি ক্ষণে ক্ষণে
কোকিলের কুহুতান,
আজি বসন্তে বসন্তের দূত
গাহে আগমনী গান।"💐কবি-লক্ষণ ভান্ডারী

🌺 ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। আগুন ঝরানো এ ফাগুনে "বন্ধুদের মিলন মেলা" পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাচ্ছি বাসন্তী শুভেচ্ছা। সুখ সমৃদ্ধি ও মঙ্গলময়তায় পূর্ণ হউক সবার জীবন।🌹

বসন্তের আগমনী কবিতা (পঞ্চম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বসন্ত উৎসব বা বরণ- যেটাই বলা হোক, এর সঙ্গে মিশে আছে একেবারে আবহমান গ্রামবাংলা, সোঁদা মাটির ঘ্রাণ। বসন্তে গাছগাছালিতে পত্রপল্লবের নতুন কুঁড়ি যেন গ্রামীণ মানুষের অন্তরকে আরও শুভ্র করে, করে পবিত্রও।

যদিও বসন্ত উৎসব এখন গ্রামীণ আয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শহুরে মানুষের কাছেও বসন্তের আবেদন ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে শহরের তরুণ-তরুণীরা বসন্তবরণে দিনভর ব্যস্ত থাকে। ফুলে ফুলে ভরে যায় কিশোরী-তরুণীদের চুলের খোঁপা। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বসে খাবারের মেলা। এ দিন দর্শনীয় স্থানগুলোতে মানুষের পদচারণায় যেন তিল ধরার ঠাঁই থাকে না।

বসন্ত এসেছে পুলক জেগেছে
রং লাগে দেহে মনে,
ফুটেছে কুসুম পড়ে গেছে ধূম
শিমূল পলাশ বনে।

রাঙাপথ বাঁকে বটতরু শাখে
পাখি সব গীত গায়,
সবুজ ডাঙায় তরুর ছায়ায়
রাখাল বাঁশি বাজায়।

দূরে আমবনে শুনি আনমনে
কোকিলের কুহুতান,
পথে যেতে যেতে শুনি কান পেতে
প্রভাত পাখির গান।

সমীরণ বয় তটিনী অজয়
কুলু কুলু বয়ে চলে,
অরুণ বরণ রবির কিরণ
ঝরে অজয়ের জলে।