পুষ্পের বর্ণাঢ্য সম্ভার ধরিত্রীর বুকে বহন করে নিয়ে আসে আনন্দ উল্লাস। আম্রকাননে কোকিল কণ্ঠে নব বসন্তের আগমনী বার্তা। বসন্তের শুভ আগমনে দূরীভূত হোক জগতের যত শোক, তাপ, পাপ, জরা আর গ্লানি।

শীত চলে যায় রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যায় শীতের জরাজীর্ণতা। বসন্ত এসে গেছে। কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবু বসন্তবন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত থাকে না।

শীতের রুক্ষতা বিদায় করে প্রকৃতি সেজেছে নবসাজে। ঝরাপাতার দিনশেষে গাছে গাছে নতুন শাখা-কুঁড়ির গান। মুকুল-শিমুল-পলাশে মিতালী করে বসন্ত এরই মধ্যে মেলে ধরেছে আপন রূপ। ফাগুনের আগুনে মন রাঙিয়ে বাঙালিও মেতেছে বাসন্তী উৎসবে।

বসন্তের আগমনী কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বসন্তের আগমন মনে জাগে শিহরণ
বসন্তে হৃদয়ে রং লাগে,
প্রভাতে সমীর বয় নব নব কিশলয়
তরুশাখে পাখিসব জাগে।

রাঙাপথে সারি সারি সারাদিন চলে গাড়ি
দুইধারে তালগাছ আছে,
বাজে বাঁশি মিঠে সুরে অজয়ের চর দূরে
অজয় নদীর ঘাট কাছে।

কাঁখেতে কলসী নিয়ে অলিগলি পথ দিয়ে
জল নিতে আসে যত বধূ,
পাশে আমবন আছে কোকিল আমের গাছে
কুহু কুহু ডাক দেয় শুধু।

অজয়ের দুইকূলে শিমূল পলাশ ফুলে
ভরে আছে শোভা মনোহর,
বসন্তের আগমনে কুসুম ফুটিল বনে
গুঞ্জরিয়া আসে মধুকর।