কাঁকনতলার মাঠ ................ সোজা পথ নদীঘাট
অজয় নদীর কবিতামালা (দশম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

নদীর পাড়ের কাছে শানবাঁধা ঘাট আছে
গাঁয়ের বধূরা স্নান করে,
কেহবা কলসী কাঁখে দাঁড়ায় পথের বাঁকে
জল নিয়ে কেহ যায় ঘরে।

রাঙাপথে সারি সারি চলিছে গরুর গাড়ি
আমবন জামবন পাশে,
মাথায় বোঝাই নিয়ে হাঁটে রাঙাপথ দিয়ে
যাত্রীদল নদীঘাটে আসে।

অজয় নদীর তটে প্রাচীন বিশাল বটে
নানা পাখি আছে বাঁধি বাসা,
বসিয়া তরুর ছায় রাখাল বাঁশি বাজায়,
মাঠে তরমুজ কাটে চাষা।

অজয়ের নদীচরে বেলা যবে আসে পড়ে
ধবল বলাকা উড়ে যায়,
অরুণ পশ্চিমে ঢলে অজয়ের নদীজলে
সোনা রবি কিরণ ছড়ায়।

সাঁঝের আঁধার নামে দীপ জ্বলে দূরে গ্রামে
নদীঘাট জনশূণ্য হয়,
কহে কবি শ্রীলক্ষ্মণ নদীর ঘাট নির্জন
কুলু কুলু বহিছে অজয়।