কাঁকনতলার মাঠ ................ সোজা পথ নদীঘাট
অজয় নদীর কবিতামালা (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

অজয়ের নদীতীর বহে শীতল সমীর
স্নিগ্ধ সুশীতল নদীতট,
অজয়ের নদীজল বয়ে চলে কল কল
কিনারায় বিশাল প্রাচীন বট।

বটশাখে কত পাখি কিচি মিচি ডাকি ডাকি
সারাদিন করে কোলাহল,
লাল পেড়ে শাড়ি পরে আসে রাঙাপথ ধরে
রাঙা বধূ নিয়ে যায় জল।

নদীধারে মাঠে আসি তরমুজ কাটে চাষী
রাখাল বাজায় বাঁশি দূরে,
অজয়ের নদীচরে সোনাঝরা রোদ ঝরে
বাজে বাঁশি রাখালিয়া সুরে।

অজয়ের হাঁটুজলে যাত্রীগণ দলে দলে
বোঝা নিয়ে নদী পার হয়,
নদীর এপার হতে ওইপারে মেঠোপথে
গোরুগাড়ি অপেক্ষায় রয়।

মানস উদাস হয় কুলু কুলু নদী বয়
দিবারাত্রি শুধু বয়ে যায়,
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কবি অজয়ের স্বচ্ছ ছবি
আঁকে কবি তার কবিতায়।