অজয় নদীর ঘাটে .............অবশেষে বেলা কাটে
অজয় নদীর কাব্যমালা (পঞ্চম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গ্রাম সীমানায় বহে সকলে অজয় কহে
কুলু কুলু সদা বয়ে চলে,
প্রভাতে উঠিল রবি মনে হয় সোনা ছবি
যাত্রী পার হয় দলে দলে।
ছুটিছে গরুর গাড়ি চাঁপাতলা মাঠ ছাড়ি
গাড়ি এসে নদীঘাটে থামে,
আলতা পরিয়া পায়ে বেনারসী শাড়ি গায়ে
নববধূ গাড়ি হতে নামে।
বেলা পড়ে আসে যবে গাঁয়ের বধূরা সবে
নদী হতে জল নিয়ে যায়,
সাঁঝের আঁধার নামে জ্বলে দীপ দূর গ্রামে
বাজে দূরে সাঁঝের সানাই।
নদীর ঘাটের কাছে অদূরে শ্মশান আছে
দূরে শাল পিয়ালের বন,
শ্মশানেতে চিতা জ্বলে ভাসে কবি আঁখিজলে
কাঁদে কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।