ভুলেছি পিতা, পিতামহের নাম
কি হবে তা দিয়ে?
আহার বিনা আলসার,
জন্ডিস থেকে ক্যান্সার
অপেক্ষা, শুধুই অপেক্ষা
জোরকরে শ্বস নেয়ার
অবধারীত মৃত্যুর হাতছানি-
ঘুম যেন, চাতকপাখির ঠোটে
এক ঝলকা বৃষ্টি।
আতঙ্কে কেঁপে ওঠে প্রাণ
যমদূত অপেক্ষারত।
ভুলে গেছি পিতামহের নাম-
তার জমিদারি, কাচারি ঘর
এখন দর্শনীয় স্থান।
আপন বলতে তিন চরকার রিক্সাটি শুধু
মাঝেমাঝে স্বপ্ন দেখায়,
তারিয়ে বেড়ায় পিতামহের জমিদারি
দাসী, বাদী, আমলা-
নির্যাতিত প্রজা, মজলুম
কল্পনা সুখের হয়,
কখনো কাবা জিয়ারত, কখনো গঙ্গাস্নান
আবার কখনো সুখ অসুখ।
অবিশ্বাস্য হলেও চিরন্তন
বাস্তবে জ্বলেনা চুলা!
চাউল শুণ্য হাড়ি,
বৃষ্টির মিষ্টি জল অতিথি হয়
স্যাঁতস্যাঁতে মেঁঝেতে।
অসুস্থ প্রাণ এক!
ক্ষুদার জ্বালায় কাঁদে একাকী
অর্ধাঙ্গিণী জ্যোৎন্সায় মিশেছে
পুত্রদ্বয় পেয়েছে নতুন মাতাপিতা
কি করে মানি ডাক্তারি নির্দেশনা
বিশ্রাম বিশ্রাম
ভুলিগেছি সব।
প্রস্রাব গাড় হলুদ হয়েছে-
টিপটিপ নড়ছে হৃদপীন্ড,
তবু পেটে জ্বালা-
খাদ্যহীন মিথ্যে দুনিয়াদারি
কি ভাবে দিবো ডাক্তারের কথায় দাম
জমিদার বলে ঠাট্টা করে সবে
তাই নিজে নিজেই ফেলেছি মুছে
জমিদার পিতামহের নাম।