বর্ষা এখনো আমাকে কাঁদায়, এখনো আমাকে হাসায়।
বুঝলে না তো?
বলছি শোন-
ছন্দহীন হবে তবুও শোন।
আমার জীবনের সপ্নময় দিন ছিল সেদিন।
ভোর হতেই মধুর সুরে বাঁজছিল বাদলের বীণ।
বেলা বেড়ে গেল তবু আলো বাড়ে না।
নির্ঘুম চোখ তবু তন্দ্রা ছাড়ে না।
মনে হয় অ্যালকোহলের নেশা।
ঠিক তখন এলো-
বৃষ্টিতে ভিজে, সিক্ত পদ্মপুষ্পের ন্যায় সেজে- বর্ষা।
বর্ষাতে ভেজা বর্ষা, আমার ধর্মপত্নী!
ঘৃতবর্ণ দেহে হলুদ শাড়ী, কাজলে আঁকা আঁখি।
হাত ভরা কাচের চূড়ি, বর্ষাতে ভেজা খোলা বেণী।
বাহু বন্ধনে আমাকে বের করে নিয়ে এলো-
বাড়ির পেছনে, তার হাতে সাজানো ফুল বাগানে।
আমি নির্বাক হয়ে শুধু তার সৌন্দর্য আস্বাদনে ব্যাস্ত।
অভাগার ভাগ্যে কি এত সুখ সয়?
আমার এই সপ্নীল সুখ আমি পারলাম না করতে জয়।
বাগানের ভিতরে থাকা সর্পের কামড়ে-
আমার বর্ষার দেহ কখন যে নীল হয়ে গেল----
কোলে করে সাপুড়ের বাড়িতে নিয়ে যেতে যেতে।
আমি বুঝতেও পারিনি।
তাই বর্ষা এলেই আমি কাঁদি।
আর কেন হাসি?
হাসি আমি আমার প্রিয়তমা বর্ষার-
শেষ ভালোবাসার কিছু কথা মনে করে।
“বোকা তুমি, কাঁদছো কেন?
আমার কিচ্ছু হবে না-
তোমার এতো ভালোবাসা ছেড়ে কি আমি যেতে পারি?
তোমার বুকে এমন করে সারা জীবন থাকব আমি।
কোনো দিনও পর হব না।”
--“বরষার আয়োজন’--