খোলা আকাশের নিচে, মধ্যরাতে-
বসে ছিলাম শুক্লপক্ষে।
গৃহত্যাগে, অনাহারে।
উদরে চাপ দিল, বোনটিকে মনে হলো
নিষ্পাপ ছোট যে বোনটি খেত-
মোর সাথে, একই পাতে।
মনে পড়িল মাকে।
মনে হলো, মা ডাকছে-
মণি খেয়ে যা; তোর বোন বসে আছে।
কি করে আসব মা?
আমি যে আজো পারিনি
জোগাড় করতে-
বোনটির হাতের একজোড়া কাচের চূড়ি।
ছোট যে ভাইটি আমার
যে, কাল আমাকে বলেছিল দাদা-
“পরীক্ষার ফি বাকি। স্যার বলেছেন-
কাল না দিলে পরীক্ষা দেওয়া হবে না।”
আমি যে ফি জোগাড় করতে পারিনি।
বাবা তুমই বলো-
মা কেন আমাকে ডাকে?
কাল যে পাওনাদারেরা তোমার গলায়
মালা পরালো ------ছেড়া জুতোর।
আর বলল-
পাওনা পরিশোধ না করিলে
সব কিছু ছেড়ে পথে নামতে।
বলো বাবা- আমি কেমন করে বাড়ি ফিরি
পাওনাদারের টাকা জোগাড় না করে?
তবু তোকে যেতে হবে।
পিছন থেকে কে যেন বলে।
ও দাদু! হ্যাঁ দাদুর কণ্ঠ।
এত বঞ্চনা তার আর সহ্য হয়নি,
নিরবে হেঁটে চলেছে তাই স্বর্গের পথে।
হঠাৎ অনুভব করলাম, আমার চোখে জল।
বুঝলাম, আমি কাঁদছি! কেন কাঁদছি?
হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
হয়তো ঘুমের ঘোরে
কোনো বাস্তব সপ্ন দেখে ফেলেছি।