আমি তখন সদ্য বালক, শিহরিত প্রাণ চিত্ত ঝলক-
পঞ্চমীতে মায়ের আসা, উদ্দীপনার স্বপ্নে ভাসা।
পুজোর কদিন ভলেন্টিয়ার, অগ্নিশিখায় মাতাল বাহার-
জনস্রোতে লোকের পাহাড়, পুজোয় মজা হরেক আহার।
আমি তখন সদ্য কিশোর, দলের সাথে পুজোয় বিভোর-
নতুন জুতোয় ফোস্কা পড়া, সুখটানেতে কতই ঘোরা।
আমি তখন সদ্য প্রেমিক, নব যৌবন উনিশ তেইশ-
ঠিক পাঁচটায় পুজো ভ্রমণ, একটু ছোঁয়ায় তৃষ্ণা মোচন।
আমার তখন সদ্য বিয়ে, নতুন ক্ষণের স্বপ্ন দিয়ে-
আলোর ভীড়ে ঠাকুর দেখা, জানা অজানায় নতুন আশা।
আমি তখন সদ্য পিতা, সঙ্গে তনয় জীবন মিতা-
ছোট্ট খোকার কত আবদার, গুনছে ঠাকুর লোকের পাহাড়।
আমি তখন মাঝ দরিয়ায়, ঢাকের বাদ্যি বুকের ছাতায়-
পুজোর ভীড়ে ভালো না লাগা, প্যান্ডেলেতে আড্ডা মারা।
জীবন শেষে এখন আমি, নাতির চোখে ঠাকুর দেখি-
ঢাকের তালে হৃদয় নাচে, আবছা আলোয় সব যে কাঁপে।
বুকের মাঝে প্রণাম মাকে, সজল চোখে জানাই তাকে-
তিলোত্তমা বিচার পাবে, আর কতদিন ধৈর্য্য রবে।
দুষ্ট জনে করো হে দমন, অসুর বধে হোক যে বোধন-
প্রতিবাদের অশ্রু ধারায়, সুবিচারে চিত্ত শোধন।