টুইংকল, টুইংকল, লিটল স্টার,
     হাউ আই ওয়ানডার হুয়াট ইউ আর।
     আপ অ্যাবাভ দ্য ওয়ার্ল্ড সো হাই,
     লাইক অ্য ডায়মন্ড ইন দ্য স্কাই।

     হয়েন দ্য ব্ল্যাজিং সান ইজ গন,
     হয়েন হি নাথিং সাইনস আপন,
     দ্যান ইউ শ্যু ইউর লিটল লাইট,
     টুইংকল, টুইংকল, অল দ্য নাইট।


গোটা বিশ্বে এমন কোনো শিশু আছে যে এই কবিতাটি পড়েনি ? সম্ভবত নয়। শিশুর মুখে যখন প্রথম বুলি ফোটে তখন শুরু হয় নার্সারি রাইম এর কবিতাগুলো দিয়ে।তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বোধহয় এই কবিতাটি।

প্রথমে এই কবিতার উৎস টা জেনে নেয়া দরকার। জেখকের নাম 'জন টেলর' (২৩ সেপ্টেম্বর ১৭৮৩-এপ্রিল ১৮২৪ ) . তিনি ছিলেন এক কবি ও ঔপন্যাসিক।  জাত ইংরেজ। ইংরেজিতে এই কবিতাগুলো গানের ছলে গাওয়া হয়। 'লুলাবি' নামে পরিচিত। ১৯ শতকের প্রথম দিকে লেখা 'দ্য ষ্টার' থেকে নেয়া। ১৮০৬  সালে রাইম্স ফর দি নার্সারি তে টেলর ও তাঁর বোন 'আনা' প্রথম ছড়াটি প্রকাশ করেন। ১৭৬১ সালে ফ্রান্সে আ! ভোয়াস দিরাই-জি মামান নামে ছড়াটির মেলডি তৈরি করা হয়। ইংরেজিতে প্রকাশের পর থেকে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

ছড়াটি মোট বিশ লাইনের ৫টি পংক্তিতে বিভক্ত। এর প্রথম চার লাইন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ছোট শিশুটি নানারকম চিন্তা করে। রাতে তারাগুলো হীরার মতো দেখায় আর তার ঝিকিমিক ও মিটমিট দেখে সে বিস্মিত হয়। অপেক্ষা করে থাকে সূর্যটা কখন চলে যাবে আর আবার সে তারাগুলো দেখতে পাবে। সারা বিশ্বের মায়েরা এই কবিতাটিকে গানের মাধ্যমে সুর দিয়ে শিশুকে ঘুম পাড়ায়।  

লুলাবি বা ক্রাডল গান গুলো শিশুর মনে এক প্রশান্তি এনে দেয়। সমাজের কিছু লোক এই লুলাবি গুলোকে মনে করে এক সাংস্কৃতিক জ্ঞান।এই লুলাবি গুলো শিশুদের দক্ষতা বিকাশের সহায়ক। মানসিক অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত ,শিশুদের অবিভক্ত মনোযোগের রক্ষনাবেক্ষন , উত্তেজনার পরিবর্তন ও আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্যে ব্যবহৃত হয়।



উপসংহার :
আমাদের বাংলা ভাষাতেও আছে অনেক এরকম যা মায়েদের কাছে ক্রমাগত শুনতে শুনতে আমাদের অজান্তেই শিশুর মগজে গড়ে ওঠে এক কবিতার পাঠশালা। মানুষের দ্রুততম বিকাশ হয় শৈশবের শুরুতে। শিশুর বুদ্ধিবৃত্তি, আবেগ, সামাজিক যোগাযোগ ও শারীরিক সম্ভাবনা বিকাশের জন্য এই লুলাবি গুলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ।  পরোক্ষভাবে মায়েদের মুখ থেকে শোনা ছড়াগুলো জীবনের শুরুর দিকে উৎসাহ যোগানো ও বিকাশে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।

পৃথিবীর আলোয় যখন আসে আমাদের শিশুটি তার জন্যে আমরা সবাই চেষ্টা করি তার জন্যে একটি সাজানো বাগান গড়ে দিতে। সুকান্তের সেই বাসযোগ্য পৃথিবী তে বীজটি আমরা রোপণ করি মায়ের মুখ থেকে শোনা কবিতা দিয়ে।  শিশুটিকে আমরা যদি বড় করে তুলি আপন মমতায়, সঠিক বিকাশে  তাহলে সে হয়তো তার পৃথিবীটাকে তার মতো করেই বাসযোগ্য করে তুলবে। মনের মতো সাজাবে আপন পৃথিবীর বাগানটাকে আর কবিতার বাগানটিকে।  

ধন্যবাদ।