দেখিনা আর কলাপাতার কোণায় লেবু আর নুন,
লুচির সঙ্গে কালো রঙের ভাজা পাতলা বেগুন।
ফার্স্ট ব্যাচ নামছে ছাদ থেকে পান মুখে দিয়ে,
সেকেন্ড ব্যাচ উঠছে অধৈর্য হয়ে সিঁড়ি বেয়ে।
নিমন্ত্রণকর্তা জিজ্ঞাসা করতেন "রান্না কেমন হলো"?
ডালনাটা ছিল বেজায় ঝাল,তবু বলতে হতো 'খুব ভালো'।
লঙ্কা ঠাসা পাঁঠার মাংস , আর পাতে রুই মাছের গাদা ,
সারা রাত জেগে বসতো ভিয়েন, ছিল মজা রাত জাগা।
হটাৎ লোডশেডিং, চারিদিক বিয়েবাড়ি অন্ধকার,
মুহূর্তে জ্বলে উঠতো আলো, চালু হতো জেনারেটর।
অন্ধকারে হলো মাটি সাধের পাঞ্জাবিতে পড়ে চাটনি,
দাদুকে ভরসা দিলো দাগ উঠে যাবে পাশে বসা নাতনি।
বাধলো হৈ চৈ অসাবধানে বিধবার পাতে মাংস পড়ে,
ধুতি ভিজে গেলো বাজেভাবে, ছিল ফুটো জলের ভাঁড়ে।
সবশেষে বরযাত্রীরা এলেন যখন বসলো পাত পেতে,
খাওয়ালেন যত্ন সহকারে কনের বাবা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে।
রাত প্রায় বারোটা, দুই বেয়াই কথা হলো মুখোমুখি দাঁড়িয়ে,
বরের বাবা, কনের বাবা, দুজন দুজনকে ধরলেন জড়িয়ে।
বাসি বিয়ে শেষ হলে, সন্ধ্যেবেলায় এলো সেই সাজানো গাড়ি,
মায়ের চক্ষু হলো অশ্রুসজল ভেবে, মেয়ে চলে যাবে শ্বশুরবাড়ি।