আমি নির্ভীক কবি, আমার আছে উন্নত শির;
শির নত করিনা আমি কখনো, আমি যুধিষ্টির।
চিত্তকে করে ভয়শূন্য, সাহসে গড়ি বিদ্রোহ প্রাচীর।
তুলে মর্মরধ্বনি আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে নিজেকে,
তিক্ত পেয়ালা ভরে বেপরোয়া হই উজ্জ্বল আলোকে।
জীবন মানে তো শুধু বুঝি একমুহূর্তের বেদনা;
তাই নিজেকে টেনে ধরে জাগ্রত করি সুপ্ত চেতনা।
মুমূর্ষু ক্ষুধার্ত শিশুকে দিই ক্ষণিকের সান্ত্বনা।
যাতনাভোগের কথা ভেবে হই "মারিয়া মাদলিনা"।
অত্যাচার দেখে শোষণ করে নেয় আমার হৃৎপিণ্ড,
ধর্মান্ধের শঠতা দেখে আমার অস্তিত্ব হয়েছে বিনষ্ট।
একসঙ্গে আধপেটা খেয়ে কাটে যাদের জীবন,
দুঃখ ভাগ করে নেবো তাদের সঙ্গে এ আমার পণ।
[মারিয়া মাদলিনা --পূর্বজীবনে ইনি ছিলেন গণিকা। যীশুর মৃত্যুর আগে তার যাতনাভোগ দেখে তার মর্মরপেটিকা ভেঙে মূল্যবান সামগ্রী দিয়ে আপন কেশগুচ্ছ দিয়ে তাঁর চরণ ধৌত করে দেন।]