চীন থেকে শুরু, দুঃসহ দুঃস্বপ্ন ঘাতকের ভয় ,
আক্রমণ করলো হটাৎ সমগ্র নিখিলভুবনময়।
অতি-দুর্দিন-শঙ্কিত-চিত মনে চলছে লড়াই,
মানুষের জীবন আজ ভয় ও আতঙ্কে ভরা তাই ;
কান্না, হাসি, ঠাট্টা,সুখ-দুঃখ আর সতর্কতা,
শান্তি নেই কারুর মনে হৃদয়ে বিহ্বলতা।
জ্বরে আক্রান্ত ছেলেটি বঞ্চিত আজ মায়ের হাতের 'জলপটি'র ছোঁয়া থেকে,
সময়ের স্রোতে ভেসে এসেছি আজ এক নতুন পৃথিবীতে।
তবু মানুষে মানুষে দেয়াল তুলতে পারেনি এই বিষের গন্ধ,
আমরা সেতু বেঁধেছি একে ওপরের সাথে ভুলেছি দ্বন্দ্ব।
ভালোবাসায় বেঁধেছি আমরা হৃদয়গুলো যতই থাকিনা দূরে,
কাঁটাতার গুলো আজ ভেঙে চুরমার হয়েছে বিশ্বজুড়ে।
প্রাণের তোয়াক্কা না করে চরম ঝুঁকি নিচ্ছে যারা মানবতার কল্যানে,
মন্দিরে মসজিদে দেবতারা আজ লজ্জিত তাই বিজ্ঞানীদের সাফল্যে।
মৃত্যুমিছিল প্রতিহত করতে জ্ঞানের আলোয় সপেঁ দিচ্ছে তারা মন ও প্রাণ,
করোনার এপিসোড গুলোতে ফেরাতে চলেছে তারা জীবনের জয়গান।
ভুখা পেটে আত্মঘাতী মানুষগুলো, আর মন্ত্রীরা শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘরে,
রক সংগীতে আর মদিরা তে দিব্বি আছে জীবনটাকে ফুর্তি করে।
সব কিছু চুলোয় যাক, রাজনীতিটা তাদের এখন বড়ো দরকার,
গোপনে আর নীরব ইশারাতে খেলছে খেলা জনগণের সরকার।
চলো সবাই মিলে আজ বাজাই কলুষতার বিরুদ্ধে জয় ঢাক ,
গোমূত্র আর গোবরের বুজরুকি ছেড়ে বিজ্ঞান কে বুকে রাখ।
মনে রেখো, দিয়া আর কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে কাটবে না যে ভয় ,
ধ্বংস হোক জীবাণু জ্ঞানসূর্যের দ্বারা, জয় হোক তবে জয়।