কবির এই কবিতাটি অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও শক্তিশালী। এটি শ্রমিকদের সংগ্রাম ও জীবনের কষ্টের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তাদের পরিশ্রম, দুঃখ , এবং বাস্তবতার কথাগুলি অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমার মতে কবিতার নাম হওয়া উচিত "শ্রমিকের গাথা " .
নিম্ন মজুরিতে তাদের কাজ করিয়ে নেয়া হয়। যা তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্যে যথেষ্ট নয়। অনেক শ্রমিকের ই অনিয়মিত ও অস্থায়ী কর্মসংস্থানের মুখোমুখি হতে হয়। জীবন হয়ে যায় অনিশ্চিত। অনেক শ্রমিক কে ঝুঁকিপূর্ণ ও স্বাস্থ সমস্যার সাথে যুক্ত কাজ করতে হয় , যা তাদের শারীরিক ও নানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। শ্রমিকের ঘামে ভেজা দিন, সপ্নহীন ,ক্লান্ত জীবন। অজানা সুরে ভরপুর জীবন। মাঠে,কারখানায় , রোদে জলে ,কায়িক পরিশ্রমে ভরপুর। অথচ তারাই দেশের বুকে গর্বের ছাপ। খালি পায়ে চলা সেই যাত্রা, পরিশ্রমের বাধা, আত্মার লড়াই। শ্রমিকের গল্প গোপন থাকে, তাদের হাসিতে লুকিয়ে থাকে ত্যাগ। শ্রমিকেরা নীরব সৈনিক, তাদের কথা গাঁথা ইতিহাস। তাদের জীবনের প্রতিটি পাতা একটি সংগ্রামের অনন্য আভাস।
শ্রমিকদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করা উচিত, যা আমাদের সমাজের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের কাজের মূল্যায়ন ও প্রাপ্য সম্মানের প্রদানের মাধ্যমে আমরা একটি ন্যায়পরায়ণ ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে পারি।
কবির এই যাত্রা যেন অব্যাহত থাকে।