হে ক্ষনিকের অতিথি এলে জনাদেশে রাজার বেশে
উড়িয়ে তোমার বিজয় কেতন বহুত্ববাদের দেশে
অসীম শক্তি শিয়রে তোমার, দম্ভ তোমার বাহুবলে
গড়ছো নতুন আইন কানুন ভাঙছো কানুন সুকৌশলে
ভুলে গেছো আজ দেশের মন্ত্র সংবিধানের ধর্ম
শক্তিবলে বিভেদ বিলাও কেন করছ অপকর্ম ?
শ্বদর্প দম্ভ তোমার চূর্ণ হবে, জনতা যখন জাগবে
ভেবেছো কি রাজাধিরাজ! তখত কোথায় থাকবে ?
বেকার যখন আধপেটা খায় কৃষক মরে খেতে
শ্রমিক মরে ইঁট ভাটাতে, হকার মরে পথে যেতে
অন্ত চক্ষু বন্ধ তোমার তুমি চলো হওয়ায় ভেসে
তুমি বিলাও বিভেদ মন্ত্র হাত নাড়িয়ে মিষ্টি হেসে!
নানান ভাষা নানান জাতি মিলিয়ে গেছে ভারত ভূমে
বিবিধের মাঝে ঐক্যমন্ত্র ভারত মাতার চরণ চুমে
কে হিন্দু কে মুসলিম কে বৌদ্ধ কে জৈন খ্রিস্টান
সবার হৃদয়ে লেখা আছে এক ভারত মাতার নাম!
চাই না জনতা বিভেদের বাণী, চাই দুবেলা ভাত
চাই জনতা কর্মক্ষেত্র বাঁচার মত একটি কাজ।
চাই জনতা মাথা গোজার ঠাঁয় একটুখানি শান্তি
পরতে চাই না জাতের বেড়ি চাই একটু স্বস্তি
জনতা একদিন জাগবেই, সকলেই পথে নামবে
তেরঙা হাতে সকল মানুষ জাত ভুলে সব জাগবে
শহরে বন্দরে গ্রামেগঞ্জে স্কুলে কলেজে পাড়ার মোড়ে
খুলবে কি তোমার বিবেক দুয়ার দুর্ভেদ্য অসীম গড়ে!