ওরা দূর্বল, ওরা অসহায়, ওরা ভাসমান সাগর জলে।
ওরা অথৈ সাগরে ভেসেই চলেছে হারিয়েছে সব ছলে।
ওরা বাঁচার জন্য নীড় ছেড়ে ছোটে ছোট্ট নীড়ের খোঁজে।
ওরা দিবা স্বপ্নে দিবানিশি জাগে দু-চোখের পাতা বুজে।
ওরা নিজভুমে থাকে পরবাসী হয়ে সময়ের প্রহর গুনে।
ওদের খাবার থালা কখন বা ভিজে প্রিয়জনের খুনে।
রাজ নয় ওরা কাজ শুধু থাকতে চাই একটু ভালো।
ওরা বাঁচার আশায় নিত্য পথে চাই একটু আলো।
ওরা নিয়তির দ্বারা নিষ্পেষিত ধর্মের যাঁতাকলে।
ওরা ঘাতকের হাতে ছুরিকাহত ধর্মের রোষানলে।
ওরা মানুষতো নয় পণ্য বাজারের চলছে বেচাকেনা।
ওদের পণ্যের চেয়ে কমই দামে,যায় বাজারে কেনা।
নিজ ভিটা ছেড়ে নৌ পথে চলে নবীন দেশের পথে।
ওদের নিত্য পথে বাধার পাহাড় হাজার বিপদ সাথে।
মাঝ সাগরে কখন আবার জলে ছুড়ে ফেলে দেয়।
মাঝ দরিয়ায় সলিল সমাধি হাঙ্গরের পেটে ঠাই।
ক্ষুধার জ্বালায় জল তুলে খায় খাবারের কথা ভুলে।
মাঝ সাগরে মরণের ফাঁদ নাও ভিড়ে না কূলে।
নাওয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে সেপাই বন্দিরা মাঝখানে।
রক্ত শোষা শোষকের দল নাই তো মায়া প্রানে।
নিজভুম হতে বিতাড়িত তারা পরভূমে পাড়ি দেয়।
পর দেশে তারা পণ্য শুধু পদে পদে ব্যথা পায়।
যে দেশে যায় শুধুই ফেরায় ঠাই নাই ঠাই নাই।
বন্ধুকের নল বুকেতে ঠেকায় মারে বাটের ঘাই।
ওগো অস্ত্রধারী জাতের রক্ষক একটু বাইরে এসো।
জাতের নামাবলী ছেড়ে মানুষকে ভালবেসো
মানুষ হিসাবে নাই বা দেখলে পড়সি হিসাবে দেখো।
আদর সোহাগ নাই দিলে সযত্নে আগলে রেখো।
ওরা অসহায় হয়ে পথে পথে ঘোরে শুধু বাঁচার আসায়।
মানুষ হিসাবে ওদের বাঁচানোর নেই কি তোমার দায় ?
মানুষ হিসাবে তাদের দিকে যদি বাড়াও দুটি হাত।
ঘুচবে ওদের মনের ব্যথা ফুটবে আলো আসবে সু-প্রভাত।
****************