কুয়াশা ঘেরা মেঠো পথ ধরে সরষের ক্ষেত বেয়ে
হেঁটে চলেছে প্রান্তিক শ্রমিক জুতাহিন খালি পায়ে।
পাতলা বসন গায়ে জড়ায়ে হাটে জীবনের সন্ধানে
শীতের রাতের শেষ প্রহরে ছুটে ইট ভাটা উদ্যানে।
বসে থাকার নেই সময় বছরে ছয় মাস হবে কাজ
মাথার ওপরে পেটের চিন্তা কপালে পড়েছে ভাঁজ।
হাতের মুঠোয় বিড়ির মুঠো ধোঁয়া ছড়ায় ঠোঁটে
ঝিরঝিরে বাতাসে পথের পাশে আগুন ছোটে।
হৃদয় পোড়া আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পথের ধারে
দরিদ্র ঘেরা ক্ষুধার আগুন ছড়িয়েছে অন্তরে।
দ্রুতবেগে হেঁটে যায় কণ্ঠে বাজে করুণ সুর
শিশির ভেজা এক বসনে যেতে হবে বহুদূর!
মেছো দল মাছ ধরে কাকভোরে মাঠ শেষে পুকুরে
মাছের হাড়ি পিঠে নিয়ে ফিরে আসে সুদূরে।
সাইকেলে ছুটে চলে ঝাঁকে ঝাঁকে শ্রমিক ভাই
সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে দূর নিবাসের আস্তানায়!
জীবন যেন শত যাতনার স্বপ্ন গুলি মেকি
মেঘে ঢাকা মহানগর ভাগ্য দিয়েছে ফাঁকি।
গড়েছে যারা অট্টালিকা গড়েছে শহর নগর
তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ নয়নে মহাসাগর।
____________
বাংলা কবিতার স্মারক
আনসারুল ইসলাম