তোমার শহরে ওলিতে গলিতে কৃষ্ণচূড়ার ডালে
জোড় বাধা শালিকের ভাবের আদান প্রদান,
পদ্মদিঘীতে হংস বলাকার জলকেলির তাণ।
ইট পাথরের দেয়াল পেরিয়ে সামনে এগুতেই,
পিচঢালা রাস্তার মোড়ে পুরোনো ল্যাম্পপোস্টের
ঠিক আর একটু সামনে এগুতেই
চোখে পড়লো, আমার মতো শিক্ষিত যুবকের জন্য চাকরি চাই বিজ্ঞাপন।
যেখানে স্বপ্নের সিড়িটা বড্ড বাঁকা আর পিচ্ছিল!
ঘুমন্ত চোখে স্বপ্ন গুলো বেশ ঝলমলে,
চোখ খুললে জীবনের পুরোটাই আঁধার।
সেখানে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ
কিংবা জোড়া শালিকের ভাবের আদান প্রদান
সবই বিবর্ণ ও বেমানান।
এখানে আনন্দ আর হাসি কান্না গুলো
চাকরি নামক একটা শব্দের কেন্দ্র বিন্দুতে
গিয়ে মিলিত হয়।
সেখানে সফলতা ভাগ্য রেখায় আঁচড় কেটে
নিক্তিতে মেপে সুখ করে বন্টন।
আর বিফলতা নিক্ষেপ করে অন্ধকার গহব্বরে
সেখানে বিফলতার ট্যাগ লাগিয়ে,
রঙিন স্বপ্ন গুলোকে দূর আকাশে উড়ার আগেই
ডানা ভেঙে দিয়ে,
দেওয়া হয় বেকারত্বের তকমা।
তাই তোমার ব্যস্ত শহরের ধূলোবালিতেও
আমার মতো যুবকের জন্য ভেসে আসে
বেকারত্বের উপহাস।
অথচ স্বপ্ন ছিলো সেই কৃষ্ণচূড়ার মতো রঙিন
কথা ছিলো হংস বলাকার মতো
আনন্দে জলকেলি করার।
কিন্তু নির্মম নিয়তি এতো কিছু বাদ দিয়ে
সে বড্ড উৎসাহী ল্যাম্বপোস্টের পাশে চাকরি চাই
বিজ্ঞাপনের সেল নম্বারে ফোন দেওয়ায়।
আজ বৈরি বাতাসও ধূলোবালির বদলে
বয়ে আনে উপহাস,
আর হংস বলাকার জলকেলির বদলে
নিজের শরীরে বয়ে চলেছে নোনা জলের জলোচ্ছাস।।