হৃদয়ের ক্যানভাসে যার নাম এঁকেছি,
ল্যাম্পপোস্টের নিচে নিভুনিভু আলোয়
মনের অজান্তে কত সহস্রবার এঁকেছি
সেই প্রিয় মুখের আবছায়া ছবি,
প্রিয় সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তাকে ভেবে
পেড়িয়েছে কত সময় কতকাল,
হৃদয়ের অলিন্দে রচনা করেছি কত শত
অপ্রকাশিত কবিতা।
যাকে নিয়ে হৃদয়ের ক্যানভাসে
রং তুলির আঁচড়ে এঁকেছি হাজারও প্রতিচ্ছবি।
হঠাৎ একটা অভিমানী মেঘ ভেসে এসে
একপশলা বৃষ্টি নামিয়ে, সবকিছু ধূয়েমুছে
নিমিষেই বিবর্ণ করে দিলো।
একটা কলঙ্কিনী দমকা হাওয়া
আমার সাজানো গুছানো ক্যানভাসে
কাঁদা ছুড়ে দিয়ে সব এলোমেলো করে দিলো।
তারপর অভিমানী তুলির আঁচড়
এক পলকেই সব ঝাপসা করে দিয়ে
হৃদয় ক্যানভাসে একটা শূন্যতা ছড়িয়ে
কেমন জানি হাহাকার সৃষ্টি করে দিলো।
অসার করে দিলো যত চাওয়া পাওয়া
আর তিলতিল করে গড়ে উঠা স্বপ্নগুলোকে।
এখন স্বপ্ন গুলো বড্ড বেরসিক ভাবে
ক্যানভাসের চারিদিকে উড়ো উড়ি করে
আর ডানা ভেঙে মুখ থুবড়ে পড়ে
আমারই সাজানো গুছানো ক্যানভাসে।
কি নিদারুণ নরক যন্ত্রণা জলরঙের মতো
কখনো গাঢ়নীল কখনো বা ফ্যাকাশে
লালের মতো বেদনার রূপ পায়।
কালের আবর্তনে জং ধরেছে
সেই প্রিয় ল্যাম্পপোস্টে,
ধুলো পড়েছে হৃদয়ের ক্যানভাসে।
রংতুলি হারিয়েছে চিরচেনা জৌলুস
আর গাঢ় হয়েছে বেদনার রং,
আমারই মনের অজান্তে
আমারই হৃদয়ের ক্যানভাসে।