অবাক পৃথিবী বড় বিস্ময়ে ভাবি আমি
কে করেছিলো জাত পাত,
উচুঁ-নীচু ধনী-গরিবের সংবিধান।
কে করেছিলো প্রথম সাদা কালোর পার্থক্য
কে করেছিলো জাতপাত নিয়ে অহংকার
পোশাক আশাক আর প্রতিপত্তির গরিমা।
মরে গেলেই যদি সব পরে থাকবে
তবে কেন এত যুদ্ধ বিগ্রহ?
মানুষে মানুষে হানাহানি আর রক্তাক্ত প্রান্তর।
চারিদিকে বাজছে রণ ডঙ্কা
আকাশ বাতাস হচ্ছে ভারী,
পান থেকে চুন খসলেই বেজে উঠছে যুদ্ধের দামামা।
রণভূমি হয়ে যাচ্ছে রক্তে রঙিন,
গোলাবারুদের তাণ্ডবে সব হয়ে যাচ্ছে ধ্বংসস্তুপ,
বেড়ে যাচ্ছে লাশের মিছিল।
তিলে তিলে গড়ে উঠা শহর নিমিষেই
ধূলোয় মিশে পৌঁছে যাচ্ছে শূন্যের দোরগোড়ায়।
নীরব শ্রোতা হয়ে অসহায়ের মতো ঠাঁই দাড়িয়ে আছে কালের সভ্যতা।
খাদ্যবস্ত্র চিকিৎসা সংকট পৌঁছে যাবে চরমে।
আর আমি নীরব মূর্তি, নিষ্ক্রিয় দর্শক
কিছুই কি করার নেই?
নিজের প্রতি প্রবল ঘৃণা আর আক্ষেপে
আমি তিল তিল করে হয়ে যাচ্ছি নিঃশেষ
এই ভেদাভেদের গণ্ডী পেরোতে
আমি হাতে তুলে নিয়ছি সংগ্রামী কলম,
করে চলেছি শব্দ দিয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই।
চূর্ণবিচূর্ণ করে পদতলে পিষ্ট করে
ভেঙ্গে ফেলতে চাই এই ভেদাভেদের প্রাচীর।
তাই কর্কশ শব্দে করে চলেছি তীব্র প্রতিবাদ।
করে চলেছি প্রতিবাদী শব্দের বীজ বুনন
এ শব্দের স্রোতে যদি হয় কারো বিবেক জাগ্রত ,
মনের জমিনে যদি উঁকি দেয় প্রতিবাদী শব্দের কুঁড়ি,
যদি হয় চিন্তা চেতনার বোধদয়
তবেই এই কলঙ্কের দায় হতে আমি
পেতে পারি দু-দণ্ড স্বস্তি।
স্বপ্ন দেখতে পারি ধনী গরীব বৈষম্য কমে
আর সকল ভেদাভেদ ভুলে পৃথিবীর মানুষ
একদিন নেবে ভালোবাসার অমৃত স্বাদ।