ভয়াল সেই রাতটা আজো পারিনি ভুলতে;
চারিদিকে অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকার,
তখন ছিলো মধ্যরাত্রি।
ঠিক সে সময়টায় বাড়ির সবাইকে ফাঁকি দিয়ে
শক্ত করে ধরে ছিলাম তোমার হাত,
ভেবেছিলাম আর যাইহোক
তুমি হয়তো আমাকে ঠকাবে না।
সেই ভরসায় আর ভালোবাসার টানে,
ছুটে গিয়েছিলাম অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
কিন্তু কে জানত, এক ভয়াল বিভিষীকাময় রাত অপেক্ষা করছে আমার জন্য।
লোকালয় থেকে অনেক দূরে,
তুমি নিয়ে গেলে এক নির্জন কোলাহল মুক্ত জায়গায়।
আমি তখনো বুঝতে পারিনি,
ঠিক কি হতে যাচ্ছে আমার সাথে।
আমি তখন টগবগে যুবতী বয়স কেবল কুড়ি;
বিন্দু মাত্র আন্দাজ ছিলোনা সমাজের মানুষরুপী জানোয়ার গুলোকে নিয়ে।
চারিদিকে সুনশান নিস্তব্ধতা
ছোট্ট একটা ঘরে শুধু তুমি আর আমি!
হঠাৎই জোরে জোরে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ!
তুমি দরজা খুলে দেওয়ার সাথে সাথে
ওরা ভিতরে ঢুকে যা ইচ্ছা করতে লাগলো।
আমি চিৎকার করছিলাম; ভীষণ জোরে জোরে চিৎকার করছিলাম,
কিন্তু সেদিন আমার এই বুকফাটা আর্তনাদ কারো বিবেকে পৌঁছাতে পারেনি।
না তোমার কাছে না ঐ মানুষরুপী
জানোয়ার গুলোর কাছে।
বিশ্বাস করো ঐ শয়তান গুলো আমার সাথে যা করেছে তার জন্য আমার কষ্ট হয়েছে ঠিকই;
তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছে
যে মানুষটাকে বিশ্বাস করে ঘর ছেড়েছিলাম,
তার বিশ্বাসঘাতকতা ও হিংস্রতা দেখে।
কি করে পারলে তুমি ভালোবাসার নামে
কলঙ্ক লাগিয়ে দিতে?
সমাজের সবার চোখে আজ আমি,
শুধুই একজন স্বামীহীনা এক সন্তানের জননী।
আমৃত্যু তোমাকে বিশ্বাস করার মূল্য
চোকাতে হবে আমায়।
অপরাধ শুধু একটাই ;
তোমাকে খুব বেশি বিশ্বাস করেছিলাম।