নব নব সৃষ্টির আনন্দে বড় বেশি দূরে চলে গেছো,
যতটুকু দূরে গেলে আর কোন অধিকার কাজ করেনা,
আবেগ অনুভূতি গুলো ভোঁতা হয়ে যায় ঠিক ততোদূরে।
কেমন আছো তুমি, ভালো আছো কি?
নাকি আমার মতো নির্ঘুম রাত্রি বিমর্ষ হয়ে ;
স্মৃতির পাতা হাতড়ে মনের অজান্তেই,
নিজেকে অপরাধী মেনে নিজেই কষ্ট পাচ্ছ।
ভেবেছিলে মস্ত জ্যোর্তিবিজ্ঞানী হয়ে
গ্রহ-নক্ষত্র, নিহারিকা, মহাকাশ, ভূমন্ডলের
গভীরে ঘটে যাওয়া রহস্য উন্মোচন নিয়ে
বিভোর হয়ে থাকবে,
যোজন যোজন দূরে থাকা মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে গবেষণা করবে।
কোথায় কত জোরে ঠিক কোন অবস্থানে
উল্কাপিণ্ড সজোড়ে আঘাত হানবে ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু!
সৌরজগতের বলয়ের মধ্যে থাকা প্রতিটা গ্রহ কতদিনে কত দ্রুত সূর্যকে প্রদক্ষিন করবে
এ সবই তোমার জানা।
ঠিক কোনদিন কোন সময়ে চাঁদে গ্রহণ লাগবে
তাতেও তুমি বেশ পারদর্শী।
তবে আমার মনের জগতে কখন গ্রহণ লাগে
তা তোমার বোঝার বিন্দুমাত্র ক্ষমতা নেই।
তোমার থাকা না থাকায় সৌরজগতে
কোন প্রভাব না পড়লেও,
আমার মনোজগতে এর প্রভাব বিস্তর।
সেটা তুমি সময় থাকতে বুঝতে চাওনি!
প্রেমিক হিসেবে তুমি বড় বেশি বেরসিকও বটে;
তাইতো মহাজাগতিক রশ্মির মতো
তুমি আমি আজ যোজন যোজন দূরে।
ওজন স্তরের মতো মনের জগতে ধরেছে ফাটল;
তোমার আমার ভালোবাসা আজ
মহাজগতের মতোই রহস্যময়,
টান আছে আকর্ষন আছে তবুও
একে অন্যের হতে যোজন যোজন দূরে।
এ জগতের কোন শক্তিই তোমাকে আর আমাকে
যুক্ত করতে পারেনি,
কারণ তুমি সবকিছু ভুলে বিভোর ছিলে
নব নব গ্রহের অনুসন্ধানে।
এতো আগ্রহ এতো উন্মাদনা আর কোন কিছুতেই তোমার চোখে মুখে দেখিনি।
আমার আর বুঝতে বাকি নেই তোমার আর আমার একই বলয়ে সহাবস্থান হতে পারেনা,
কারণ আমরা দূজন মনের দিক দিয়ে
দুটি ভিন্ন জগতের বাসিন্দা।
ভালোবাসতে হলে একে অপরের জন্য
টান অনুভব করতে হয়,
ভালোবাসার ছন্দে ছন্দ মিলিয়ে চলতে হয়।
বেসুরো গাইলে যেমন গান শ্রুতি মধুর হয়না ,
ঠিক তেমনি ভালোবাসার ছন্দে ছন্দ মিলিয়ে
না চলতে পারলে ভালোবাসা সুখকর হয়না।
তাই বলছি আমি না হয় অপেক্ষার প্রহর শেষে
অন্য আলোয় তোমাকে খুঁজে নিবো,
ভালোবাসার বলয়ের ভিতর না হয়
নিজের করে রেখে দিবো।
যেথায় মেঘমালা বৃষ্টি হয়ে করবে ভালোবাসা বর্ষণ
আর দমকা হাওয়া জাগাবে ভালোবাসার শিহরণ।