নারী তুমি অগ্নি কন্যা তুমি রুদ্ধ মূর্তি
ঝঞ্ঝার মতো সাহসী তুমি, তুমিই প্রেমময়ী।
একই রূপে দশভুজা তুমি, কর্মে গুনে অনন্যা।
কে বলে অবলা তুমি, দূর্বল ও ভীরু?
রজঃস্রাবের যন্ত্রনাকেও হার মানিয়ে
চলছো দুর্গম গিরি।
দশ মাস দশ দিন গর্ভধারণ করে
প্রায় বিশটা হাড় ভাঙ্গার ব্যাথা সহ্য করে
নাড়িছেড়া ধন দিতে পারো উপহার।
প্রেমিকা হিসেবেও কম নও তুমি,
আদর্শ স্ত্রী হিসেবে পরিবার পরিজন নিয়ে
বিনা অজুহাতে, বিনা বেতনে বিনা অভিযোগে
সংসারে তোমার বলিষ্ঠ অবদান।
মা হিসেবেও অতুলনীয় তুমি,
সন্তানের বেড়ে উঠায় ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে
সন্তানের মঙ্গল কামনায় সর্বদা করেছো আত্মবলিদান।
বন্ধু হিসেবেও কম যাওনা তুমি
বার্ধক্যে যখন ছেলে মেয়ে আত্মীয় স্বজন সবাই হাতটি ধরতে নারাজ, ঠিক তখন তুমি তোমার অর্ধাঙ্গের উওম বন্ধু হয়ে রও।
ভালোবাসা ও সেবায় নিজের জীবন হেসে খেলেই বিলিয়ে দাও।
যোদ্ধা হিসেবেও কম যাওনা তুমি,
দেশ মাকে বাঁচাতে নিজের আব্রুকে বেআব্রু হতে দেখেও ;নিজের জীবন হাসিমুখে দিয়েছো বিলিয়ে।
নারী তুমি সত্যিই সাহসী, গভীর ভাবে না ভাবলে তোমার অবদান যায়নাতো বোঝা।
তাই আমি বলছি, তোমার হীন মানসিকতা ঝেড়ে বন্ধ কর নারীকে অবলা ভাবা।
জননী প্রেমিকা সহধর্মিনী বন্ধু যে রূপেই তুমি থাকনা কেন, সে রূপেই নারী তুমি অনন্যা।