কোন এক বসন্তে
পিংকী দাস।
কোন এক বসন্তে কোকিল ডেকেছিলো কুহু কহু
কোন এক বসন্তে মনের কোণে
ফাগুনের হাওয়া দিয়েছিলো দোলা!
ঝড়া পাতা জাগিয়েছিলো শিহরণ,
মনের দরজা খুলে উঁকি মেরেছিলো
প্রথম ভালোবাসার কুঁড়ি!
জাগ্রত হয়েছিলো তোমাকে কাছে পাওয়ার
প্রবল আকর্ষণ।
পলাশ শিমুল সাজিয়ে ছিলো রূপের পসরা,
ঝরা পাতার মর্মর ধ্বণি দিয়েছিলো
অন্য রকমের ভালো লাগা।
কোন এক ফাগুনে হয়েছিলো তোমার সাথে
আমার প্রথম প্রণয়!
খরস্রোতা নদী পেয়েছিলো উত্তাল যৌবনের স্বাদ।
কোন এক ফাগুনে হয়েছিলো হাতে হাত রেখে
চোখে চোখ রেখে প্রথম পথচলা,
অনুভব করেছিলাম প্রথম প্রণয়ের শিহরণ।
ফাগুনের পূর্নিমার চাঁদ দিয়েছিলো এক অপূর্ব আভা,
পূর্ন জোছনার আলোয় কি অপূর্ব প্রকৃতির রূপ
সন্ধ্যায় ঝিরি ঝিরি মিষ্টি হাওয়ার সাথে
জোনাকী পোকার দিক-বিদিক ছুটে চলা।
সন্ধ্যাটি ঠিক যেন ছিলো হিমেল হাওয়ার পরশে মাখা!
ফাগুনের হাওয়ায় মাতাল হয়ে লিখেছিলাম
তোমায় নিয়ে একটি অসমাপ্ত প্রেমের কবিতা,
যার শেষ লাইন অবধি ছিলো ভীষণ আবেগে ভরা।
এক একটা শব্দে একেকটা বর্ণে যেন
হরেক রকম বেদনার আওয়াজ!
যেন ভালোবাসার কোমল শব্দগুলো
এলোমেলো ভাবে জড়িয়ে রসহীন হয়ে
নিজ গলায় পড়েছিলো ফাঁস!
কোন এক ফাগুনে।