মানুষ যে সময়টায় পরম আনন্দে
ভালোবাসার আবেগী আলাপে মেতে উঠে,
চাঁদ তারা আকাশকে সাক্ষী রেখে
প্রিয় মানুষটিকে সাথে নিয়ে
ভালোবাসার প্রবাহমান সাগরে নিমজ্জিত হয়,
সুখের স্রোতে ডানা ঝাপটিয়ে
প্রণয়ের সহিত একে অন্যের প্রতিশ্রুতি
রাখতে মরিয়া হয়ে উঠে।
ঠিক তখন; আমার ভালোবাসা হারানো
পোড়া মনের ভিতরটা জ্বলেপুড়ে অঙ্গার।
আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত লাভার মতো,
পুড়ে পুড়ে বিগলিত হয়ে গড়িয়ে আসে ক্রন্দন।
ফোঁটায় ফোঁটায় ঝড়ে পরা অশ্রু নীরবে
বালিশের তলা ভিজিয়ে, ভিজিয়েছে
বইয়ের কতশত পাতা!
তবুও নিজেকে কি আড়ালে রাখা যায়,
চোখের নীচে পড়ে যাওয়া ঐ কালি
বিষাদের সাক্ষী হয়ে রয়।
যতই চাইনা কেন ততই যেন মনের কষ্টের ঐ
প্রতিচ্ছবি চেহারায় রয়ে যায়।
আরসীতে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে
নিজেই যেন ভয় পেয়ে যাই
ভীষণ রকমের ভয়,আমি যেন আতকে উঠি,
ভিতর থেকে আর্তচিৎকার ফুলে ফেঁপে
অবশেষে অশ্রু হয়ে ঝরে যায়।
এ যেন মেঘলা দিনের বাদল ধারা,
চারদিকে কালো মেঘের খেলা,
থেকে থেকে হুংকার দিয়ে গর্জে উঠা বজ্রমেঘ,
প্রবল বরিষণে প্লাবিত করে এ ধরা,
সব ধুয়ে মুছে করে পরিষ্কার।
ঠিক তেমনি অঙ্গার হওয়া হৃদয়ের আর্তনাদ
অশ্রু হয়ে ঝরে দুই নয়নের পরে,
ক্ষণিক স্বস্তি এনে দেয় পোড়া হৃদয়ে।