ঘন কুয়াশার ইন্দ্রজালের রহস্য ভেদ করে
এক ফালি সূর্যের কিরণ ঝিলিক দিয়ে
চোখে লাগতেই মনে হলো,
একটা শিশির বিন্দুর স্পর্শে হিম শীতল হাস্যোজ্জল;
একটা হলুদ রঙা কাঠগোলাপ তুমি!
ঘন কুয়াশার মায়াজালের রহস্য উন্মোচিত হয়ে,
তোমার নেত্র দ্বয়ের দিকে তাকাতেই
নব রহস্যের সহিত আলিঙ্গন হলো!
সম্মোহিত হলাম আমি!
মনে হলো ছাতিমের সুবাস জড়ানো,
একটা উলেন চাদর হয়ে আলতো ভাবে
অঙ্গে জড়ানোর একটা মিষ্টি আহ্বান।
যার ওমে মিশে আছে মাদকতা!
তোমার চোখের পল্লবে খুঁজে পেলাম
অলিখিত এক মহাকাব্য।
পড়তে পড়তে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে
সেইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে
পরের চরণে কি তা জানার আগ্রহ!
নিজের মধ্যে আত্মস্থ করার আগ্রহ!
এতোক্ষণে প্রবল আত্মবিশ্বাস দানা বাঁধে;
কাব্যটি নিজের হয়ে ধরা দেওয়ার।
বিশ্বাসের কোন নিক্তি থাকলে হয়তো
তার কাঁটা টিক টিক করে ঘুরতে ঘুরতে ঠিক
সর্বোচ্চ সংখ্যাটিতে পৌঁছে যেতো!
মুহুর্তেই মনে হলো শতাব্দী পার হয়ে গেলেও
এই কাব্যের প্রতি কখনো অনীহা জন্মাবার
কোন কারণ নেই।
একবার নয় দুবার নয় ; বারবার এমনকি বহুবার,
কাব্যকে আত্মস্থ করার মতো সুখ হয়তো
এ ধরায় আর দ্বিতীয় কোনকিছুতেই নেই!
তবে তোমার চোখের পল্লবে যে কাব্য
তা হারানোর শঙ্কা নিজের চোখে স্পষ্ট দৃশ্যমান
তাইতো চোখের পলক ফেলতেও ভয় হচ্ছে।