বেহিসেবী শব্দের বুননে ঝড়াপাতার উপর
পত্র লিখে ভাসিয়ে দিলাম ফাগুনের বাতাসে,
যেন শব্দের ঘর্ষণে তোমার হৃদয়ে আগুন
জ্বালিয়ে ছাই করতে পারি সমস্ত অভিমান!
পারলে তুমিও ফাগুনী হাওয়ায় প্রেম মিশিয়ে
ষোড়ষীর পত্রের উত্তর দিও, প্রিয়!
এখনও প্রহরেরা অপেক্ষায়
খুনসুটি করে ফাগুনের উষ্ণ হাওয়ায়
প্রেমের পরশ নেবে বলে!
এখনও পলাশের ডালে শালিকের জুটি দেখলে
নেত্রদ্বয় টলমল করে উঠে,
বসন্ত উৎসবে মাদলের তানে
আনমনে স্মৃতিরা করে নিপীড়ন।
লাল, নীল রেশমী চুড়ির টুংটাং আওয়াজে
জড়িয়ে আছে তোমার আমার মধুর আলাপন!
বসন্ত বাতাসে আমি মহুয়ার মাতাল করা ঘ্রাণ
আর তুমি আমায় ছুঁয়ে যাওয়া
দিক ভোলা দুষ্ট এক বেরসিক প্রেমিক,
যার মন পিঞ্জিরায় কয়েদ আমার প্রাণ।
পারলে ফাগুনী হাওয়ায় প্রেম মিশিয়ে পত্র লিখো প্রিয়, আমি পথ চেয়ে রইবো!
তোমার অনুরাগের পত্রখানি পড়া শেষে আবেগের জলকেলিতে কল্পলোকের বাসন্তীকা হয়ে,
আম্রকাননে নিশিতে কবিতা লিখবো!
না হয়, মেঘের ভেলায় প্রেম মিশিয়ে
বৃষ্টি বিন্দু হয়ে আচমকা আমায় ছুঁয়ে দিও।
আর কতকাল অপলক দৃষ্টিতে পথচেয়ে রইবো!
পারলে অভিমান ভুলে একখানি পত্র দিও, প্রিয়!
পারলে একখানি পত্র দিও।