চাওয়া-পাওয়া, হতাশা এখন নিত্য চলার সাথী
ক্রমশ বিবর্ণ হচ্ছে স্মৃতির পাতা,
কর্কশ হয়ে যাচ্ছে মুখের ভাষা।
ক্রমাগত চক্রান্তে বাক্স বন্দী হচ্ছে সত্য আর সততা,
সময়ের তালে প্রিয়জনের লিস্টটা বেড়ে গিয়ে প্রয়োজনের সাথে গড়েছে সখ্যতা।
সত্য-ন্যায়নীতি এখন নেহাতই পাঠ্য বইয়ের পড়া;
অতীতে ছিলো বলে ওসব নীতি কথা
আজও কালি খরচ করে ছাপানো হয়,
তবে বাস্তবে এর প্রয়োগ আছে বলে মনে হয়না!
হবেই বা কি করে, রাজনীতি বলো
সংসার জীবন বলো, কে করে সত্যকে লালন?
সব রথী-মহারথী এখন মিথ্যা ও পরচর্চায় রত।
চাল, ডাল, তেল ও নিত্যপন্যের উর্ধগতিই
এর সাক্ষ্য বহন করে,
ওসব সত্য বলে কিছু লাভ নেই!
সত্যরা এখন শিকল বন্দী
ন্যায় নীতি গিয়েছে নির্বাসনে।
শিক্ষাগুরু, ধর্মগুরুরা পথভুলে
মিছে মোহ মায়ায় প্রায় সকলেই আসক্ত।
কে শোনাবে পরিবর্তনের গান?
কে শেখাবে ঘুরে দাঁড়ানোর কৌশল?
সত্যরা দূরে পালিয়ে করছে হাহাকার!
সত্য বলে এখন লাঞ্চিত হতে হয়
পদে পদে অপদস্ত হতে হয়,
ওসব সত্যি বলা মুখোশ ধারীদের ভীড়ে।
এখন সব শোষণ আর শাসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ
ধনী দ্বারা গরীবের শোষণ আর সবলের দ্বারা
দূর্বলের প্রতি অন্যায় অত্যাচার,
জাতি, ধর্ম ও বর্ণের দেওয়াল খাড়া করে
ন্যায়-নীতি সততা থেকে ছিটকে গিয়ে,
বৈষম্যের প্রাচীর উঁচু করে
ক্রমাগত সাধারণ মানুষকে করা হচ্ছে নিপীড়ন।
এতো নীতি বাক্য, সত্য ও শিষ্ঠাচার সংশ্লিষ্ঠ
শব্দ ও বাক্য গুলো আজ বড়ই অসহায়।
প্রচলিত আছে, কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ নেই।
কি জঘন্য? কি লজ্জার? এই লোক দেখানো সততা!
দেখা যায়, তবে সুফল পাওয়া যায় না।
কিছু কিছু সততা নজরে পরে, কিন্তু তা বলার আগেই
চোয়ালের উপরে কারফিউ জারি হয়ে যায়।
কি দুর্বীষহ এই অমানবিক জীবন,
কি জঘন্য এই কাঠ পুতুলের জীবন।
কে দেবে পরিবর্তনের ডাক?
কে শোনাবে দিন বদলের গান?