তোমার শহরে মেঘ না চাইতেই রোদেলা বৃষ্টি,
আর আমার শহরে,
একের পর এক আছড়ে পড়ে ধূলিঝড় আর কালবৈশাখী।
বিষণ্ণতা আর না পাওয়ার যন্ত্রণা যেখানে,
শুধুই বিষাদে চুইয়ে চুইয়ে পড়ে।
সেখানে তুমি অকারণে ভালোবাসার ব্যবচ্ছেদ ঘটিয়ে গড়েছ সমাধি,
দিয়েছো প্রাণহীন এক অসার হৃদপিন্ড।
যেখানে হৃদযন্ত্রটা চলে ঠিকই,
তবে, কারো ভালোবাসার জন্য নয়,
বরং নিছক বেঁচে থাকার তাগিদেই, কিছুটা শ্বাস নেওয়া।
ভালোবাসা পাওয়া
অথবা না পাওয়ার অঙ্কটা কোষলে দেখবো;
না পাওয়ার পাল্লাটাই আগে নুইয়ে যায়,
তা হবে হয়তো নেহাতই কপালের দোষ!
তাইতো শ্রাবণ এখন মেঘ হয়ে নয়,
চোখ বেয়ে অঝোরে ঝরে।
চারিদিকে পল্লবে পল্লবে প্রকৃতি যখন সজীবতা জাগায়;
কৃষ্ণচূড়ার লালসবুজের ডালে যখন
দুটি শালিক বসে ভাবের করে আদান প্রদান,
তখন খানিক বেখেয়ালি মনে
ভালোবাসা সজীবতা পেলেও;
তোমার দেয়া অতীতের অবহেলাটুকু এখনো স্মৃতি হয়ে ভেসে উঠে মনের পাতায়।
বিবেক তাকে করে প্রতিনিয়ত প্রতিহত,
আর হৃদয় যন্ত্রটাও থমকে যায় আকুলতায়!
তাই এখন আর তেমন
আগের মতো করে আবেগগুলোও কাজ করেনা,
জং ধরেছে আবেগ অনুভূতির কোষাগারে।
এখন মনের ভিতর শুধুই দীর্ঘশ্বাস,
বেঁচে থাকার তাগিদেই শুধু বেঁচে থাকা,
আর টেনে নেয়া কিছু রসহীন নিঃশ্বাস।