কেন মাঝ পথে এসে শব্দরা আহত হলো?
কেন বর্ণ গুলো দিয়ে হয় রক্তক্ষরণ?
কেন নীরবে কবিতা গুলোর হলো কারাবরণ?
কেন কবির হলো রুদ্ধশ্বাস?
তাহলে কি ধরে নেবো,
ওরা কবিতার উপরে; প্রতিবাদি শব্দের উপরে,
কারফিউ জারি করে স্তব্ধ করতে চায় প্রতিবাদ!

সময়ের প্রয়োজনে কবি সাহসী হলো,
সাহসের সেই চারা গাছটি লক লকিয়ে
আকাশ ছুঁবে বলে, তুফানের তোয়াক্কা না করে
বড় হতে লাগলো!
একে একে পুরাতন রেকর্ড ভেঙ্গে
পিছেনের সব সাহসকে গুড়িয়ে
নতুন সাহসের রেকর্ড গড়ল!
এক সময় সাহসী শব্দ দিয়ে তৈরি মালা
গলায় পড়ে দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে
বিজয় মশাল দিয়ে আলো জ্বালাবে বলে!
কিন্তু তাঁর সাহসী কবিতায় সাহস করে
মন্তব্য গুজে দেওয়ার সাহসী মানুষ
আর তৈরি হলো কই?

কবি ও কবিতারা আজ বড় অসহায়,
মানুষের শক্ত মাথার খুলি ভেদ করে
মগজে হানা দিতে গিয়ে দেখলো
ওগুলো আগে থেকেই নিষ্ক্রিয়!
ওখানে মগজ বলতে কিছু নেই ;
মগজের বদলে ধূসর ছাই পড়ে আছে,
ওখানে নতুন করে ঘর্ষনে আগুন জ্বলবে না!
তাইতো ওদের আবেগ বিবেক দু'টোই আজ নিষ্ক্রিয়!
ওরা চোখ দিয়ে কবিতা গিলে,
আর মস্তিষ্ক ভেদ করে মিশে যায়, ঐ হাওয়ায়।
এখন কালি দিয়ে বড় বড় কবিতার বদলে ;
বড়বড় চুরি করে আয়েশি জীবন কাটালে,
মানুষ বাহবা দেয়! বাজায় করতালি!
আর কবিতার স্রষ্টাদের করা হয় চরম অবমূল্যায়ন।
এ যেন সাক্ষাৎ রুচির দুর্বিক্ষ!
সবকিছু এখন নষ্টদের দখলে!

তাহলে কি ঐ রক্তচক্ষু,
ওদের কালো হাত রোধ করছে কলমের গতি?
ওদের রক্তচক্ষু গিলে খেয়েছে কলমের কালি?
নাকি ওদের টর্চার সেলে কবির কবিতা ও
শব্দ গুলোকে ব্যবচ্ছেদ করে,
চলছে লাশ ঘরে পাঠানোর যড়যন্ত্র!
নাকি মরার আগেই কাফনের কাপড়
গুজে দেওয়ার পৈশাচিক চক্রান্ত!
যাতে করে বিদ্রোহী যত কবিতা
একসাথে কফিন বন্দী হয়ে
চিরতরে দাফন হয়ে ধূলোয় মিশে যায়।
না থাকবে কোন বিদ্রোহী কবি
না লিখবে বিদ্রোহী কোন কবিতা।
যাতে অনায়াসে কলম চোরেরা করতে
পারে সিনা চুরি।