আর কতোটা ঘর ভাঙ্গলে,
আর কত অসহায় মানুষের কপাল পুড়লে
তুই শান্ত হবি সর্বনাশী।
বাপ দাদার বসত ভিটা মাটি সবই তো
নিয়েছিস গিলে সর্বগ্রাসী!
ফসলের মাঠ, সোনা ঝরা ধান কিইবা
আর আছে বাকি!
পোড়ামুখী, কি নিসনি তুই জলের তলে!
হালের গরু, দুধেল গাই কি যায়নি বানের জলে ভেসে।
বুকে বেদনার তুফান চলে, চোখেতে অশ্রু ঝড়ে
সব হারানোর বেদনায়
মানুষের চোখে মুখে শুধুই হাহাকার।
তোর তাণ্ডবে গুমরে কাঁদি ,
নিষ্পাপ শিশুর মুখে দিতে পারি না দুমুঠো আহার।
কপালের প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে
এখন শুধু দুশ্চিন্তারা খেলা করে,
কানের প্রতিটি পরতে পরতে শুধুই ধ্বনিত হয়
বেদনা বিধুর আওয়াজ।
কি করে তুই হলি এতো পাষাণী ,
সব গিলে ফুলে ফেঁপে হলি পোয়াতি,
কোন সুখে এতো মানুষ কাঁদালি,
করে দিলি এক পলকে যাযাবর।
বানের জলে স্বপ্ন গুলো ভেসে যেতে দেখে
কিষাণ করছে হাহাকার
জলের নিচে ডুবে ডুবে ফসল বাঁচানোর
আহা কি করুন আকুতি বারবার।
ও খোদা রহম কর, দয়া কর বানভাসিদের
বন্ধ করো যত জলের তাণ্ডব লীলা।
থমকে দাও না হয় এবার অলক্ষীর ঐ জলের ধারা।
এবার না হয় উনুনে জ্বলুক আগুন,
কপালে জুটুক কিছু ডালভাত না হয় দু'মুঠো অন্ন।
কোন দোষে হলাম বানভাসি
কোন দোষে হারালাম ভিটেমাটি,
কেন বসালে গরীবের পীঠে বিশাল এ বেদনার খর্গ। ক্ষুধার রাজ্যে কেন করে দিলে নিক্ষিপ্ত।
নিমিষেই বানের জলে ভেসে গেলো ভিটে মাটি
আর যা ছিলো মোর স্বপ্ন।
সময়ের স্রোতে এখন আমি বানভাসি
নাই ভিটে মাটি আর অন্ন।