আষাঢ়ের কদম
        পিংকী দাস।

গগন সাজিয়াছে আজি কালোমেঘে,
লুকায়েছে রবি আজি খেলিছে লুকোচুরি খেলা।
প্রবল বরিষনে এই বুঝি ধরা সিক্ত হবে আজি,
গগনে গর্জে মেঘ এই বুঝি অঝোড়ে নামিলো!
ময়ূর আজ ধরিছে পেখম মেলিয়া,
বৃক্ষ গুল্ম লতাপাতা নাচিছে হেলিয়া দুলিয়া!
সবুজে সবুজে ভরে আছে চারিদিক,
কদম কেয়া বসে আছে রূপ তার মেলিয়া!
আষাঢ়ের জলে ভরে আছে মাঠ ঘাট বিল ঝিল
গাছে গাছে কদমগুলি রহিয়াছে ফুটিয়া!
মনে হয় যেন সোনালী আবীর গায়ে তার মাখিয়া
শুভ্র ঐ বাতাসে মিষ্টি সুবাস ছড়াইয়া,
বলিতেছে হেসে হেসে আমি আষাঢ়ের কদম্ব রানী
দিয়ে যাই আষাঢ়ের আগমনী বার্তা!
হাওর গুলো ফুলে আছে চারিদিক
এই বুঝি বান ডাকিলো, এই বুঝি তুফান আসিলো!
গগন সাজিয়াছে আজি কালোমেঘে,
এই বুঝি টাপুর টুপুর বৃষ্টি নামিলো!
রাখালেরা গরু গুলি বাঁধিয়া
বাঁশরীতে ধরিয়াছে বেদনার সুর,
বিরহীনি মেয়ে বাতায়নে বসে ভাবিছে
কতোই না মধুর আমার প্রিয়র বিরহী এই সুর।
দূরে ঐ নদে মাঝি নোঙড় করিলো,
বৃষ্টির তালে তালে সখীরাও ঐ যে গান ধরিলো
গগনে গর্জে মেঘ এই বুঝি তুফান নামিলো!
জোরে জোরে কিষাণ হাক পাড়িলো
এই বুঝি আকাশের বুক চিরে বাদল নামিলো
ঝড় ঝড় প্রবল বেগে এই বুঝি বাদল নামিলো!