বিকেলের হলুদ আলোয় তোমার হাত ধরে,
জমাট দুপুরের এক টুকরো চায়ের দোকানে বসেছিলাম।
সেখানে গাছের ছায়ায় জড়ো হয়ে ছিল
জোড়া চশমা, ভাঙা টেবিল,
আর কিছু অকারণ গল্প।
তোমার খোলা চুলে বাতাসের নৌকা চলত,
চায়ের ধোঁয়ার মাঝে হারিয়ে যেত তোমার হাসি।
আমি এক হাতে ধরে রেখেছিলাম
এক পুরোনো কবিতার পাতা,
যেখানে লেখা ছিল
"পৃথিবী ঘুরে তাকায়—তোমাকে দেখে!"
তুমি বলেছিলে,
"এই শহরের একাকিত্ব এক বোকা ভ্রাম্যমাণ খেয়াল,
তুমি কি আমার একা থাকার গল্প বোঝ?"
কাগজে লিখে রাখা অর্ধেক স্বপ্ন,
চায়ের পিপাসায় ভেজা রুমালের কোণে
তোমার চোখে এক অনন্ত জিজ্ঞাসা দেখেছিলাম।
আমার নীরবতা তোমাকে পিছু টেনেছিল,
আর আমি ভেবেছিলাম,
"কিছু শব্দের ভেতরে শ্বাস নিতে হয়,
যেন তাতে গল্পের রং ফুরিয়ে না যায়।"
তোমার হঠাৎ প্রশ্ন এল সেই সন্ধ্যায়—
"আমার জীবন নাকি তোমার,
কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ?"
কিছু সময়ের জন্য আকাশে চাঁদ থেমে গিয়েছিল।
আমি বলেছিলাম, "আমার জীবন।"
তুমি উঠে চলে গেলে—
পথের ধারে পাখির পালক পড়ার মতো নিঃশব্দে।
কিন্তু তুমি জানলে না,
পৃথিবী আমায় বারবার তোমার গল্প বলে।
তুমি জানলে না,
তুমিই আমার জীবন।