তোমার চোখের পাতায় জ্বলে উঠছে বুনো জঙ্গল,
বাতাসে লাফিয়ে ওঠে অদৃশ্য বাঘের পায়ের শব্দ।
নদীর জলে ডুব দিয়ে ফিরে আসে
নির্জনতা, সিঁড়ির ধাপে বসে থাকা সময়ের মতো।
তুমি গন্ধহীন সুরভির মতো ছড়িয়ে পড়ো
আকাশের ভিতর।

শালগাছের তলায় শুয়ে থাকে পিঁপড়ের স্বপ্ন,
আর মাটির ভিতর হঠাৎ টের পাওয়া যায়
সাপের নকশা।
তোমার ছোঁয়ায় শরীরের ভিতর খুলে যায়
পৃথিবীর প্রতিটি ভুলে যাওয়া দরজা।

মেঘের গায়ে ভর দিয়ে ঝরে পড়ছে
তোমার শ্বাসের মতো কুয়াশা,
তুমি যেন এক অদৃশ্য হরিণ,
যার পদচিহ্ন খুঁজতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠে মরুভূমি।
প্রেমকে তুমি হাতের মুঠোয় ধরে চিরকাল
কবিতা বানাও।

কেউ নেই তোমার মতো, নখের চিহ্ন বসাতে আসে,
গোপন জখমে রক্তের ঝর্ণা ফোটাতে।
তুমি অন্ধকারের মতো আমার ভিতরে ঢুকে বসেছ,
আলোর খোঁজে ছটফট করি, তবু তোমাকেই চাই।
হৃদয়ের দরজা খুলে দিলে তুমি নিশ্চয়ই আমাকে
খণ্ড খণ্ড করে ফেলবে, কিন্তু তাতে কী?
তোমার প্রেমের অগ্নিশিখায় পুড়ে ছারখার হওয়ার চেয়ে
জীবন কী আর?