সেই আজব দেশে কোথাও পুরুষ কাঁদে না,
নারীর কান্নার জলে ফোটে শুধু বিষকাঁটা,
পুরুষেরা হাসে খিলখিলিয়ে।
সেখানে বটের ঝুড়ি ধরে ঝোলে অপ্সরা,
আর শিমুল গাছের ডালে বাঁধে পুরুষেরা বাসা,
রঙিন পালকের মতো স্বপ্ন বোনে।
সে দেশে প্রশ্ন ওঠে না কেন পুরুষেরা ধর্ষক,
বরং আঙুল ওঠে কত নারী হয়েছে কলঙ্কিত,
যেন দোষটা তাদেরই, যারা শিকার।
বিদ্যালয়ের মাঠে নয়, ঘরে কাঁদে কিশোরী,
কত ছেলে করেছে হেনস্থা, সে হিসেব কেউ রাখে না,
কেবল গুনতি চলে কত মেয়ে হয়েছে লাঞ্ছিত।
ধর্মের দোহাই দিয়ে চলে নিষিদ্ধ গর্ভধারণ,
পুরুষের বীজ নয়, নারীর গর্ভই যেন অপরাধী,
কে রাখে খবর কত ছেলে করেছে সর্বনাশ?
কালো পিঁপড়ের মতো ছেয়ে গেছে মিথ্যার পাহাড়,
সত্যের আলো যেন এক নিভু নিভু জোনাকি,
তবুও প্রশ্ন জাগে, কেন এই উল্টো পুরাণ?
কে বোঝে নারীর যন্ত্রণা, পুরুষের উল্লাস?
কে বোঝে সমাজের চোখে কেন এত পক্ষপাত?
উত্তর খোঁজে ক্লান্ত মন, ফেরে দিশেহারা।
ওই শোনো, দূর আকাশে কান্নার রোল,
যেন লক্ষ পাখির আর্তনাদ, লক্ষ ফুলের হাহাকার,
তবুও কেউ শোনে না, কেউ বোঝে না।
আহা! যদি পেতাম এক আজব চশমা,
দেখতাম সব উল্টে, দেখতাম সত্যের মুখ,
দেখতাম পুরুষের কান্না, নারীর জয়গান।