কুয়াশা মাখা রাতের পথে
যেখানে চাঁদের স্নান সরে গেছে, যেখানে কালো ছায়ার শেকল পড়ে থাকে,
হাজারি গলির কান্না শুনি আমি,
নিশ্বাসহীন রাত্রির ভেতর দাঁড়ায় অসংখ্য নেকড়ে—
বৃথা অপেক্ষার পাঁজরে রক্তের ছবি আঁকে।
এই ক্ষুধার্ত জন্তুদের দেহে জেগে ওঠে
এক বিকৃত উল্লাস— ভ্রষ্ট মায়ার ছায়া আর মৃত নগরের প্রতিচ্ছবি।
অগণন শাঁখের মতো ছুঁড়ে ফেলে
মানুষের হাড় আর রক্তের বীজমন্ত্র।
শ্বাপদের রক্তাক্ত নখরের নিচে
ভুলে যাওয়া শেকড়ে হারায় পবিত্র আত্মার সংহার।
দিকভ্রান্ত সূর্য্যাবর্তে আলোর কথা নেই আর—
কেবল নিঃস্ব বন্ধ্যা মাঠের মতন
তৃণহীন দেশ, যেন অনন্ত শূন্যের প্রহেলিকা।
চোখের ওপর গলিয়ে রাখা বিষধোঁয়ায়
প্রতিটি মানব আত্মা ঢলে পড়ে;
এই অন্ধকারে আমরা তো আর কেউ নই—
শুধু অতৃপ্ত অতলান্ত পিশাচের মিছিলের অঙ্গুলীহারা মৃত ফুল।
আলো নেই, রোদ নেই—
মধ্যরাতের আকাশে চাঁদ নেই, নক্ষত্র নেই,
এই দেশে শুধু কালো কালো রাত।