শূন্যতার আঁধারে ডুবে অস্তিত্বের প্রশ্ন জ্বলে,
কোথায় যাব, কে আমি, এই রাতের অন্ধকারে ঘুরে।

রাত শুয়ে গেছে নিঃশব্দে, গভীর নিশিতে
ঘুমের দোরগোড়ায় দাঁড়াই, কিন্তু ঢুকতে পারি না।
অস্থির আত্মা ঘুরে বেড়ায় ঘরের অন্ধকারে,
সময়ের নদীতে ভাসে না কোনো দিশা, কোনো ঠিকানা।

চুপিসারে আঙিনায় এসে তাকাই ঝলমলে তারার পানে,
কোন গৃহ-কুটীরের স্বপ্ন কি দেখি অচেনা নীল আকাশে?
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোণে আমি এক নগণ্য কণা,
কেন এই জীবনের নাটক, কেন এই অকারণ ভ্রমণ?

দেয়াল ঠোঁকার আওয়াজ ঘুমন্ত শহরের বাতাসে,
মিথ্যা আলোর পোশাক পরে নগরী ঘুমের ভান করে।
আলোকিত রাস্তায় ছুটে যায় গাড়ির হেডলাইটের রশ্মি,
কোথায় দৌড়ায় তারা এই নিঃশব্দ রাতের অন্ধকারে?

অনন্তের বুকে হারিয়ে যায় এক নিশ্বাসের পদধ্বনি,
মৃত্যুর ঠান্ডা হাতের স্পর্শে পৃথিবী যেন থমকে যায়।
কবে ভোর হবে, জানি না, কবে উঠবে সূর্যের আলো,
চোখের পাতায় জমে থাকে অস্থির আত্মার কালো ছায়া।

তবুও আশার এক টুকরো জ্বলে অন্ধকারের কোণে,
এই নিঃশব্দ যাত্রায় হয়তো খুঁজে পাব নিজের বাড়ি।
এই ভ্রমণের শেষে হয়তো পাব মুক্তির আলো,
অস্থির আত্মা শান্ত হবে রাতের শেষে সকালে।

নতুন ভোরের আলো ফুটে যখন হবে জগৎ জাগ্রত,
অস্থির আত্মা পাবে শান্তি, হবে চিরতরে মুক্ত।