ক্ষতচিহ্নে জন্মগ্রহণের মুহূর্তে ফুটে ওঠে অস্তিত্বের বীজ।
অবিরাম নির্যাতনের ঘূর্ণিপাকে ভেসে যায় আত্মার প্রদীপ।
প্রশ্ন করে অন্তরাত্মা, "কেন এই অবিচার?
কেন জন্মের সাথে সই করতে হয় মৃত্যুর দলিল?"
অশ্রুসিক্ত চোখে তাকায় আকাশের দিকে, জিজ্ঞাসা করে:
"আমরা কি অপরাধী ছিলাম আমাদের বিশ্বাসে?
আমরা কি অসত্য ছিলাম আমাদের প্রার্থনায়?
আমরা কি অবৈধ ছিলাম আমাদের জন্মভূমিতে?
তবে কেন, কেন আমাদের এই—"
নিঃশব্দে এসে দাঁড়ালেন তিনি ইতিহাসের দরজায়। বললেন, "শোনো
স্বাধীনতার মিথ্যা আশ্বাসে মোহগ্রস্ত
তোমরা সকলেই ছিলে নিজের অস্তিত্বে বিস্মৃত।"
সবার দিকে একে একে তাকিয়ে তিনি বললেন, "তুমি ভেবেছিলে
তোমার ধর্মের নামে তোমাকে কেউ স্পর্শ করবে না
তুমিই নিরাপদ আর সমস্ত বিপদ তোমাকে এড়িয়ে যাবে ভেবেছিলে
ভেবেছিলে মুহূর্তেই পাবে স্বাধীনতার স্বাদ এই মাটিতে
কখনও-বা ভুলে গেছ মেনেছ পরাধীনতার সীমা
আর তুমি
যদিও তোমাকে আমরা আমাদের সকলেরই জানি
পুষেছ তবু গভীর গভীর অতিগভীর তত-গভীর-ও-না ক্ষতবিক্ষত স্মৃতি
আর আমি, তোমাকে রক্ষা করব বলে হঠাৎ মিথ্যাবাদী, বুঝি
তোমরা কেউ জানোনি যে বহুদিন আগে তোমরা নির্বাসিত!"
নীরবতায় মিলিয়ে যায় কণ্ঠ। স্তব্ধ প্রাণ। তার পর
তিনি ফিরে তাকালেন আমাদের দিকে। বললেন, "এবার
আসুন এক যুগ আমরা নিঃশব্দে অশ্রু ঝরাই।"