স্বপ্নের ভেলায় ভাসি অনন্ত সময়ের স্রোতে,
মৃত্যুর কিনারে বসে জীবনের গান শোনাতে।

ধুলোর নিচে লুকানো ঢাকা,
স্বপ্নের মতো অদৃশ্য মনে হচ্ছে,
ঈশ্বরের এক বিশাল বিলবোর্ড নীল আকাশে ঝুলছে।
নিচে ওঁচলা আর ঈশ্বরের প্রসাদ
মিশে আছে ফুটপাতে,
আমি তোমাকে খুঁজছি, ইরাবতী,
এই পাগলা ঈশ্বরের নগরীতে।

এখানে মেঘ বিক্রি হয় কাগজের প্যাকেটে,
মাঝে মাঝে ঝরে পড়ে রাস্তায়,
তখন শহরে বৃষ্টি হয় হঠাৎ।
আমাদের প্রেমও কি তবে এমন,
কাগজের মতো পাতলা,
ভিজলেই ছিঁড়ে যায়,
আর স্মৃতিগুলো ভেসে যায় ময়লা নির্গমনপথে?

মনে আছে, সেই রথযাত্রার মিছিল,
হাজার হাজার মানুষের মাঝে
তোমার হাত ধরে রাখতে গিয়ে
হারিয়ে ফেলেছিলাম তোমাকে।
খুঁজেছি, রাতের অন্ধকারে,
শুক্ল দ্বিতীয়ায় চাঁদের আলোয়,
কিন্তু দেখা পাইনি,
শুধু শোনা যাচ্ছিল মিছিলের ঢাকের আওয়াজ।

এই শহরে প্রতিটি লাল বাস স্টেশন
এক একটা অপেক্ষার আস্তানা,
আমি অপেক্ষা করি,
কোনো এক লাল বাসে হঠাৎ করে উঠবে তুমি।
পাগলা ঈশ্বর হয়তো মনে রেখেছে
আমাদের হারানো প্রেমের ঠিকানা,
কিন্তু কোন স্টেশনে নামবে,
মধুমতির কোন মোড়ে হবে সাক্ষাৎ,
জানি না।

হঠাৎ একটা ছেলে ও একটা মেয়ে,
ঈশ্বরের বিলবোর্ডের নিচে
চুমু খাচ্ছে,
তাদের চুমুর রঙ ঢাকার আকাশের মতো নীল।
মনে হয় পাগলা ঈশ্বরের একটুখানি ক্ষমতা
নেমে এসেছে ওদের চোখে।
আমি হেসে ফেলি,
হয়তো পাগলামিই ভালো,
একটুখানি ঈশ্বরের খেলা।

নক্ষত্রের চোখে লুকোচুরি খেলে অন্ধকার,
শূন্যতার বুকে জাগে অস্তিত্বের হাহাকার।