সকালে এক কাপ চা, রক্তমাখা চামচ হাতে
তোমার ঠোঁটে এক চিমটি বিষাদ—
আমি তাকাই, তাকাই না;
শিল্পের নামে ছিঁড়ে ফেলি শব্দের পাতা।
বইয়ের মলাট ছিঁড়ে উড়াই হাওয়া দোলায়,
হাওয়ার কাগজগুলো যেন বিষণ্ণ কবুতর—
কী করে বোঝাই, শিল্পের আকাশে কুয়াশার ঝালর।
রাত্রি নামে, শূন্য থালার মতো
চাঁদ ভরে থাকে মেঘের ময়দানে।
আমার কল্পনায় জমে থাকা জল
ধীরে ধীরে বাষ্প হয়ে উড়ে যায়—
তোমার মনের গোপন কোণে আমি যেন
একটা মাকড়সা, জাল বুনছি দিনের পর দিন।
প্রেম, একদিন রান্নাঘরের আলনায় ঝুলে ছিল,
ভাতের হাঁড়ি থেকে ধোঁয়ার মতো উড়ে গেছিল কোথাও।
তুমি কি দেখোনি, বারান্দার পায়রাগুলো
আজ আর গান গায় না?
তোমার নাম ডেকে ডেকে ঠোঁটের চামড়া উঠে গেছে,
তবু শব্দ তৈরি হয়নি, কণ্ঠ শুকিয়ে গেছে।
একদিন পেন্সিলে আঁকা স্কেচপ্যাডে
তোমার মুখের রেখা এঁকেছিলাম,
পেন্সিল ভেঙে গেলে শিল্প থেমে যায় না;
তবু কেন থেমে গেলে তুমি,
এটা কি প্রেম ছিল? শিল্প ছিল?
নাকি সেই সাদা পাতায় আঁকা ক্ষত,
যা রক্তপাতে রঙিন হয়ে উঠেছিল?
আজ রঙ নেই, শব্দ নেই,
তোমার ছায়া নেই এই অন্ধকারে।
শুধু একটা কেঁচোর মতো কেঁদে বেড়াই, মুখে কালি মাখি।
কেউ কি আসবে, এই অন্ধকারের আঁধারে?
জানি, কামড়াব, চিবাব, হাড়গোড় সব খেয়ে ফেলব।
আঁধারের রাজা আমি, মৃত্যুর ভিখারি।
একবার চেয়েছিলাম তোমার দিকে, নিস্তেজ চোখে—
শিল্পের নামে দেহটা কেন এতো ক্ষতবিক্ষত?