শূন্যতার বুকে জ্বলে মৃত্যুর শিখা,
কালের চোখে জড়িয়ে আছে নীরব কথা।

রাতের নৈঃশব্দ্যে কাঁপে কঙ্কালের শহর,
তারার চোখে ঝরে মৃত্যুর গভীর নীল।
চাঁদের আলোয় ধরা পড়ে হাড়ের সাদা আঁচল,
যেখানে জীবনের সুর এখনো কেঁদে কাতর।

একসময় ছিল মাংস, ছিল রক্তের লাল,
হাসির ঝনঝনানি, প্রেমের উষ্ণ আলিঙ্গন।
কিন্তু সময়ের ঝড়ে সব শুকিয়ে গেছে,
কেবল হাড়ের খাঁচা, নিঃশব্দ ও নিঃসঙ্গ।

পাথরের গলিতে বাতাস গুনগুন করে,
এক হাড়ের হাত আরেক হাড়ের হাত ধরে।
কোন কথা বলে না, শুধু চুপ করে বসে থাকে,
মৃত্যুর কবিতা লেখে নিঃশব্দ কাগজে।

কখনো কখনো হাড়ের খাঁচা কাঁপে,
স্বপ্নের আলোয় জ্বলে ওঠে হাড়ের চোখ।
জীবনের গান গায় এক ক্ষীণ কাতর সুরে,
কিন্তু ভোরের আলোয় সব হারিয়ে যায়,
মৃত্যুর নৈঃশব্দ্যে।

কিন্তু শোনো, এই কঙ্কালের কান্না,
এই হাড়ের সারি গান জীবনের স্মৃতি।
একদিন তোমারও হাড় কাঁপবে,
এই শহরে, এই রাতে, এই নৈঃশব্দ্যে।

তাই জীবনকে জীবন দাও, হাসি দাও, কান্না দাও,
প্রেম করো, ঘৃণা করো, কিন্তু জীবিত থাকো।
মৃত্যুর শহরে যেন কাঁপে না তোমার হাড়,
জীবনের গান গাও, চিৎকার করে গাও।

স্মৃতির ধ্বংসাবশেষে জীবন ফুটে উঠে,
কঙ্কালের শহর জাগে নতুন সুরে।