মায়ার জালে জড়িয়ে পৃথিবী,
সত্য হারায় অন্ধকারে,
কালো রক্তের নদী বয়ে যায়,
ক্ষয়ের দিকে ধাবিত সকলে।

যারা ক্ষমতার সিংহাসনে বসে,
লোভের বিষে মাতোয়ারা,
তাদেরই গান গায় কবি,
লেখক তাদেরই করে বন্দনা।

নদীর তীরে বটগাছ,
     শিকড় বিশাল, গাছ প্রাচীন,
     তার ডালে বসে কাক,
     কা-কা করে ডাকছে, বিষণ্ণ।

নদীর জল কালো,
     দুর্নীতির ময়লায় ভরা,
     মাছ মৃত, পাখি উড়ে গেছে,
     নীরবতা ভারী, মর্মাহত।

এক বর্বর রাজা
     সিংহাসনে বসে অহঙ্কারে,
     তার হাতে তলোয়ার,
     মুখে মিষ্টি কথা, মনে বিষ।

রাজার চারপাশে
     দুর্নীতির দানবের দল,
     তারা হাত মেলায়,
     রাজার কাছে চায় লোভের ফল।

এক যুবক এল,
     বটগাছের তলায় দাঁড়াল,
     রাজার দিকে তাকাল,
     বলল, "রাজা, থামাও এই অনাচার!"

রাজা হেসে বলল,
     "তুমি কে বোকা, আমার বিরুদ্ধে কথা বল?"
     যুবক বলল, "আমি সত্যের সৈনিক,
     দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করব আমি।"

রাজা রাগান্বিত হলো,
     তলোয়ার বের করল,
     যুবককে আঘাত করতে উঠল,
     কিন্তু হঠাৎ থেমে গেল।

যুবকের চোখে
     রাজার চোখের প্রতিচ্ছবি দেখা গেল,
     দুর্নীতির কালো ছায়া,
     দুজনের মুখেই একই রকম।

যুবক হতাশ হলো,
     বুঝতে পারল সত্য,
     দুর্নীতির রাক্ষস,
     সবার মনেই বাস করে।

কালো রক্তের নদী বয়ে যাবে
যুগ যুগ ধরে, থামবে না।
কেবল যখন সকলের মন হবে পবিত্র,
তখনই হবে দুর্নীতির অবসান।

সত্যের আলো ফুটবে একদিন,
আঁধার হবে বিলীন,
কালো নদী হবে স্বচ্ছ,
পৃথিবী হবে নবীন।