কালিমার অন্ধকারের হাত ধরে মলিন পূর্ণিমা জেগে ওঠে—
বনমালার ডালে অজানা শিকারির ফাঁদে ঝুলে থাকে দুঃস্বপ্নের হরিণ;
নির্বিকার শূন্যতায় আকাশের চোখে ভাসে থমকে যাওয়া নক্ষত্রের দল—
বৃথা পাখির পাখনায় আজ শস্যখেতের সোনালি স্বপ্ন পুড়ে ছাই।

বিষণ্ণতার শঙ্খধ্বনি নিয়ে, কেউ যেন হাঁটে অদ্ভুত মিছিলে—
কৃষ্ণপক্ষের বুকে দাঁড়িয়ে এক পলাতক ভোরের মেঘ শিখিয়ে দেয় বিষণ্ণতার ভাষা।
মেঘমালা ছেয়ে দেয় শস্যের মাঠ, নদীর কূলে লুকিয়ে থাকে সত্তার গভীর গুহা—
ধুলো জমা দেয়ালে ছায়ার মতো হাঁটে একাকী এক মৃত্যুময় আলো।

নিভে যাওয়া প্রদীপের মতো সবুজ খেতের বুক চিরে যায় শূন্যতায়—
সেই পথ ধরে ক্লান্তি আর নৈঃশব্দের মাঝেই কেউ তুলে নেয় নিস্তব্ধতার নিশানা।
ধূসর ভুবনে ছায়া ফেলে বিষাদমাখা দিন—
যেনো দেশ আজ স্বপ্নহীন, আলোর অভাবে কালিমার সিন্দুর মেখেছে কপালে।