মানুষেরা জন্মে না কখনো স্বাধীনতার আলোয় ভেসে,
মুক্তির স্বপ্ন দেখে না তারা, বন্দি হয়ে থাকে নিজ খাঁচায় বেঁচে।
মনের প্রাচীরে বন্দি কেউ, কারও স্বপ্নই নেই আর,
চিন্তার শৃঙ্খলে আবদ্ধ কেউ, কারও চেতনার হয়েছে হার।
বেঁচে থাকার ছলে মানুষ দেখায় অতি কাতর,
যুদ্ধে রক্ত ঝরায়, অন্ন কেড়ে নেয়, প্রাণ হরে নির্মম নিষ্ঠুর।
ক্ষতবিক্ষত দেহ নিয়ে তবু চলে যায় অবিরাম,
বিচারবোধ তার পশুর চেয়েও নীচ, অধম, ক্ষাম।
অন্ধের মতো সব কিছু ছিনিয়ে নেয় মুঠো ভরে,
কথা বলে যেন পচা বিশ্বাস মুখে নিয়ে ঘুরে ফিরে।
স্বপ্ন দেখার ভঙ্গি তার অতি বিষণ্ণ, কাতর, অসার,
প্রেম করতে গিয়ে প্রেমকেই করে তারা ছারখার।
শান্তি চাইতেও অসভ্য তারা, হিংস্র পশুর মতন,
সহানুভূতি জানে না, শিশুর প্রাণেও দেয় আঘাত-যতন।
মানুষের সহমর্মিতা মিথ্যা, ছলনাময়, হায়!
সংগ্রাম তার নিষ্ফল, যেন মরুতে দুই পাগল ধায়।
স্নেহ-ভালোবাসা ছাড়া মানুষের কোনো মহত্ত্ব নেই,
বিষ আর ঘৃণায় ভরা অন্তর, করুণা নেই চোখেই।
তাকায় চারিদিকে চোখ পাকিয়ে হিংস্র দৃষ্টি মেলে,
স্বাধীনতা শুকিয়ে যায় মরীচিকার মতো মিলিয়ে।
কোনো মুহূর্তেই মানুষকে মহৎ দেখা যায় না,
শুধু একতায় তার মহিমা, অন্য কিছুতে নয় তা।