অস্তমিত সূর্যের আলোয়, জ্বলে ওঠে অশ্রুতারা,
নিঃশব্দে ডুবে যায়, দুটি আত্মার আকাঙ্ক্ষা।

শীতের রাতে, নিঝুম রাস্তায়, ছায়ার হাত ধরে হাঁটি আমি।
চাঁদের আলোয় ধরা পড়ে নিজেরই রূপ অপরূপ।
দুটো আত্মা, এক সাথে, নিঃশব্দে চলেছি, কোথায় যেন জানি না।

এই ছায়া, আমারই সঙ্গী, জন্ম থেকেই -
কখনো কথা বলে না, কিন্তু সব বোঝে।
আমার আনন্দে হাসে, আমার দুঃখে কাঁদে,
এক নিঃশব্দ ভাষায়, এক কষ্ট মেশানো চাহনিতে।

রাস্তার ধারে এক বটগাছ, শাখা ঝুঁকে দিয়েছে আমাদের জন্য -
চুপিসার নিমন্ত্রণ, পাতার শয্যায় বসতে।
আমি বসি, ছায়া বসে পাশে, চাঁদের আলোতে স্নান করে।
দুটো চুপচাপ আত্মা, এক নিঃশব্দ প্রেমে হারিয়ে যায়।

কোন কথা হয় না, কিন্তু চোখে চোখ মিলে যায়।
আমি জানি তার ভাষা, সে জানে আমার বেদনা।
এই নিঃশব্দ প্রেমে, কোন অভিযোগ নেই, কোন আশা নেই।
শুধু আছে দুটো আত্মার মিলন, নিঃশব্দ, নিঃশেষ।

রাত গভীর হয়, চাঁদ আকাশের কোণে ঢুকে পড়ে।
আমি উঠি, ছায়াও উঠে আমার সাথে।
একবার পিছনে ফিরে তাকাই, বটগাছের দিকে -
শাখায় ঝুলছে শুধু নিঃশব্দ নিঝুম রাত।

ছায়া আমার সঙ্গী, আমি তার সাথি -
এই প্রেমে বাঁধা, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত।
কোন শপথ নেই, কোন বাঁধন নেই, শুধু আছে -
দুটো আত্মার নিঃশব্দ গান, চাঁদের আলোয় লেখা।

শীতের নিশ্বাসে কাঁপছে রাতের বুক,
চাঁদের আলোয় ভেসে যায় দুই অজানা আত্মার সুখ।