স্বপ্নের অলীক রাজ্যে,
অধিকারহীনতার খেলা চলে।

নিতান্ত অধিকারহীন ছিলাম,
কোন অধিকার ছিল না আমার।
আমি ছিলাম অন্ধকারের আঁধারে,
অধিকারহীনতার বেড়াজালে ঘেরা।

হঠাৎ একদিন আপনি এলেন,
আলোর মতো, স্নিগ্ধ হাসি মুখে।
বললেন, "'অধিকারহীন' কথাটা ভুল,
তুমি 'অধিকার-বঞ্চিত'।"

আমার মনে হলো,
এটাই সত্য,
আমি সারাজীবন অধিকার থেকে বঞ্চিত।

দিন গেল, রাত গেল,
অধিকারের আশায়
আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম।

কিন্তু অধিকার এল না,
বরং বেড়ে গেল বঞ্চনা।
আমি হতাশ হয়ে পড়লাম,
অন্ধকার আরও ঘন হয়ে এল।

আপনি আবার এলেন,
আশার আলো নিয়ে।
বললেন, "'অধিকার-বঞ্চিত' কথাটাও ভুল,
তুমি 'অধিকার-চুরি-যাওয়া'।"

আমার মনে হলো,
সত্যিই তো!
আমার অধিকার চুরি করা হয়েছে।

আমি আরও বেশি অপেক্ষা করতে লাগলাম,
অধিকার ফিরে পাবো বলে আশা করলাম।

কিন্তু অধিকার এল না,
বরং বেড়ে গেল নির্যাতন।
আমি হতাশার তলানিতে পৌঁছে গেলাম,
আশা প্রায় নিবে গেল।

হঠাৎ একদিন আপনি এলেন,
ক্রোধে ভরা মুখে।
বললেন, "'অধিকার-চুরি-যাওয়া' কথাটাও মিথ্যা,
তুমি সত্যিই 'অধিকারহীন' বটে!"

আমি হতাশায় ভেঙে পড়লাম,
বুঝতে পারলাম
আমি কখনোই অধিকার পাব না।

আপনি তখন
একটি লাইন টেনে দিলেন
একটি ব্ল্যাকবোর্ডে।
বললেন, "এই রেখার নিচে তুমি।"

আমি রেখাটির দিকে তাকালাম,
এবং বুঝতে পারলাম
আমি চিরতরে অধিকারহীন থেকে যাব।

আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানালাম,
আমার অধিকারহীনতার জন্য,
আমার বঞ্চনার জন্য,
আমার অন্ধকারের জন্য।

আমি জানি,
আপনি আমার জন্য
শুভকামনা করেন।

কিন্তু আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না,
আমি এই অন্ধকারে আর থাকতে চাই না।

আমি উঠে দাঁড়ালাম,
এবং রেখাটি
ডাস্টার দিয়ে মুছে ফেললাম।

আমি বললাম, "আমি আর 'অধিকারহীন' নই,
আমি 'অধিকারী'।"

এবং আমি হেঁটে চলে গেলাম,
আলোর দিকে,
নতুন জীবনের দিকে।

আমি জানি, সত্যিই,
আমার অধিকার আমিই।