শহরের বাতাসে ধোঁয়া, যেন পুরনো কালের গোপন অভিশাপ,
দম বন্ধ করা শব্দগুলো কেবল উড়ে বেড়ায় নিঃশব্দে।
সেইসব ভাঙাচোরা রাস্তা—যেখানে আমাদের স্বপ্নগুলো
বৃষ্টির পানিতে ভেসে গিয়েছিল একদিন—
এখন সেখানে গড়ে উঠেছে নীরব ইটের পাহাড়।
আমাদের চোখে জ্বলে থাকা প্রতিশ্রুতির অগ্নি
এখন নিভু নিভু প্রদীপ,
তবু, আমরা পথ চলি, পিঠে বোঝা নিয়ে,
যেন ভুলে গেছি কোথায় যাবার কথা।
শালিকের গান ছিল যা একদিন মুক্তির ডাক,
আজ তা যেন কারাগারের সাইরেনের মতো কর্কশ।
একটা সময় ছিল, যখন দুঃখ ছিল জ্বলন্ত উনুন,
সোজা পথে পুড়তো, পোড়াতো।
এখন দুঃখের কাহিনি বহুস্তরে বিভক্ত—
একটা রংধনু যেন,
যার প্রতিটি রং এক নতুন মিথ্যা।
মাটির গন্ধে এখন আগুনের ছাপ,
আকাশ যেন হাতছানি দিয়ে বলে, "এসো,
আমার কাছে মুক্তি নেই,
তবু তোমার চোখে স্বপ্ন দেখি।"
আমরা দাঁড়িয়ে থাকি, শূন্যতার দিকে তাকিয়ে—
একবারও ভাবি না, এই শূন্যতায় আমরা নিজেরাই লুকিয়ে আছি।
পাকিস্তানের দিনে যেন ছিল মেঘলা আকাশ,
বৃষ্টির আশায় কৃষকের মতো অপেক্ষায় ছিলাম।
আজ, এই অন্ধকারে, তারকাও যেন নেই,
কেবল মিথ্যা আলোর জালে আবদ্ধ।
তখন দুঃখ ছিল সরল, যেমন সাদা কাগজে কালি,
এখন দুঃখের রং বদলে যায়, যেমন রংধনুর বর্ণ।