মহালয়ার মৃত্তিকায় মগ্ন,
কালের কুন্ডলী কুয়াশায় ঢাকা।
অশরীরী আলোকে অভিষিক্ত,
দেবীর দৃষ্টি দিগন্তে জাগা।
ষড়ঋতুর সিঁড়িতে সময়ের পায়ে,
আশ্বিনের আঙিনায় অপেক্ষমান।
চণ্ডীপাঠের চক্রব্যূহে চৈতন্য,
মহিষাসুরের মৃত্যুঘণ্টা বাজে প্রাণ।
কাশফুলের কম্পনে কাঁপে বাতাস,
শিউলির সুবাসে সৃষ্টির স্পন্দন।
নবপত্রিকার নব জীবনের আশ্বাস,
ঘটে ঘটে ঘূর্ণিত হয় বিশ্বভুবন।
ধূসর ধূলিতে ধ্যানমগ্ন ধরা,
শক্তির শঙ্খধ্বনি শোনে কান।
অমাবস্যার অন্ধকারে আলোর ধারা,
মা'র মুখে মৃত্যুঞ্জয়ী হাসির টান।
বোধনের বীজমন্ত্রে বসুধা কাঁপে,
ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় সজল সাজে সৃষ্টি।
সপ্তমীর সূর্যোদয়ে সোনার স্বপ্ন,
অষ্টমীর অর্ঘ্যে অমৃতের বৃষ্টি।
নবমীর নিশীথে নক্ষত্রের নৃত্য,
দশমীর দিগন্তে দুঃখের ছায়া।
বিসর্জনের বেদনায় বিধুর বিশ্ব,
প্রতীক্ষার পাথরে পড়ে মায়ার মায়া।